বিজেপি জোট-শাসিত বিহারে সেতু-বিপর্যয় আটকানো যাচ্ছে না। এবার ভেঙে পড়ল আরও একটি ব্রিজ। এই নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে ১৩টি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটল নীতীশ কুমারের রাজ্যে। বুধবার ভোর রাতে সহর্ষ জেলা মাহিষী গ্রামে একটি সেতু হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে, সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে এমনটাই। সহর্ষের অতিরিক্ত জেলাশাসক জ্যোতি কুমার সংবাদসংস্থাকে জানান, এটা একটি ছোট সেতু বা কজওয়ে হতে পারে। জেলা আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুর্ঘটনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিতে জানার চেষ্টা চলছে। যদিও সেতু দুর্ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। গত কয়েকদিন ধরে বিহারের সিওয়ান, সরন, মধুবনী, আরারিয়া, পূর্ব চম্পারণ এবং কিষাণগঞ্জে একের পর এক সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটছে।
ইতিমধ্যেই ১৫ জন ইঞ্জিনিয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের মতো উচ্চপদস্থ কর্তারাও রয়েছেন। দু’টি নির্মাণ সংস্থাকে শোকজও করা হয়েছে। ব্ল্যাকলিস্টেড করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আটকে দেওয়া হয়েছে কারও কারও পেমেন্টও। বিহারে প্রথম সেতু ভাঙার খবর আসে গত ১৮ই জুন। আরারিয়া জেলায় সেতু ভেঙে পড়ে সবার আগে। তার পর ২২ তারিখ সিওয়ানেও একইভাবে নদীর উপর ভেঙে পড়ে একটি সেতু। এর পর পূর্ব চম্পারণ, কিষাণগঞ্জ, মধুবনী, মুজফফরপুরে সেতু ভেঙেছে। গত বুধবার সিওয়ানে চারটি সেতু এবং সারনে দু’টি সেতু ভেঙে পড়ে। বৃহস্পতিবার সারনের আরও একটি এবং এদিন সহর্ষে সেতু ভাঙার পরে মোট সেতু ভাঙার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩। স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে শোরগোল। নিন্দার মুখে সে রাজ্যের সরকার।