মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পথ থেকেই বিজেপিশাসিত ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলিতে একের পর এক ঘটে গিয়েছে নৃশংস ঘটনা। যা দেখে শিউরে উঠেছেন সবাই। এদের মধ্যে অন্যতম হল উত্তরপ্রদেশ। আরও একবার বিতর্কের কেন্দ্রে ‘যোগীরাজ্য’। হাথরাসে পদপিষ্ট হওয়ার ভয়াবহ ঘটনায় অভিযুক্ত ভোলেবাবাকে কার্যত ক্লিনচিট দিল যোগীরাজ্যের বিশেষ তদন্তকারী দল। মঙ্গলবার, দুই সদস্যের সিট তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ধর্মগুরু ভোলেবাবার অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা এবং অব্যবস্থার জন্য আয়োজকদের দায়ী করা হয়েছে। ষড়যন্ত্র থাকার ইঙ্গিত রয়েছে রিপোর্টে। ৮৫৫ পাতার রিপোর্টে দোষী হিসাবে ভোলেবাবার নাম উল্লেখ করা হয়নি। রিপোর্ট পেশের পর এসডিএম-সহ ছ’জন আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়। পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় শীর্ষ আদালতেও মামলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির হাতে ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করা হয়েছে যোগী সরকারের কাছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২রা জুলাই হাথরাস জেলার সীমানায় রতিভানপুর গ্রামে সিকন্দ্রা রাও এলাকায় সুরজ পাল ওরফে নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলে বাবার সৎসঙ্গের আসর বসেছিল। অনুষ্ঠানের শেষে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ১২১ জন। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশ মহিলা এবং শিশু। রাজ্য সরকারের নির্দেশে ঘটনার তদন্তের জন্য দু’সদস্যের সিট গঠিত হয়। সিটের রিপোর্ট জমা পড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিকান্দ্রা রাওয়ের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র কুমার, সার্কেল অফিসার আনন্দ কুমার, তহশিলদার সুশীল কুমার, স্টেশন হাউস অফিসার আশিস কুমার এবং দু’টি স্থানীয় পুলিশ আউটপোস্টের ইনচার্জকে সাসপেন্ড করা হয়। কাচোরার চৌরি ইনচার্জ মনবীর সিং এবং পোরার চৌকি ইনচার্জ ব্রিজেশ পান্ডেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। রিপোর্টে অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট অফিসাররা সেদিনের ঘটনাকে গুরুত্ব দেননি। এমনকী ঊর্ধতনকে ঘটনার কথা জানানো হয়নি। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।