চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই কার্যত শনির দশার কবলে বঙ্গ বিজেপি। ফের বেআব্রু হয়ে পড়েছে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব। বেসুরো হচ্ছেন অনেক নেতাই। দলও ছাড়ছেন অনেকে। প্রচুর চেষ্টা করেও নিজেদের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি ধরে রাখতে পারছে না গেরুয়াশিবির। এবার কোচবিহারে আরও দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল। মেখলিগঞ্জ মহকুমার দক্ষিণ হলদিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রমীলা রায়বর্মন এবং পঞ্চায়েত সদস্য গোবিন্দ বর্মন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। ফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল দখলে নিল। সঙ্গে মেখলিগঞ্জ মহকুমার আরেকটি গ্রাম পঞ্চায়েত পার মেখলিগঞ্জেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল ঘাসফুল শিবির।
প্রসঙ্গত, এই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল এবং বিজেপি উভয় দলের গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাতজন করে পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে টসের মাধ্যমে সেখানে প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন করা হয়। বোর্ড গঠন করে বিজেপি। এবার সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ডলি রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। ফলত তৃণমূল সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল। “গত লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর বিজেপির অধীনে জেলায় থাকা চব্বিশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ অধিকাংশ সদস্যরা তৃণমূলে যোগদান করেছেন। ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত এমন রয়েছে যেখানে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তবে সেখানকার প্রধান এখনও বিজেপিতে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ প্রধান দলবদলের জন্য যোগাযোগ করছেন। আরও ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত এখন বিজেপির দখলে রয়েছে। সেটাও তাদের হাতছাড়া হওয়া এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা”, পদ্মশিবিরকে একহাত নিয়ে জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।