বরাবরই বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা মোদী সরকারের জাহাজ ও বন্দর মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। আর এবার পাচারে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে! শোনা যাচ্ছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় অবাধে চোরাচালান চালাতে বহু লোককে নিজের লেটারহেডে লিখিত অনুমোদন দিচ্ছেন শান্তনু। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত প্রহরার দায়িত্বে থাকা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের কর্তাদের কাছে নাকি পৌঁছে যাচ্ছে বিজেপি সাংসদের সেই চিঠি। মিলছে ব্যবসার অনুমতি। পাশাপাশি গুঞ্জন, পাচারের বৈধ স্বীকৃতি হিসেবে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী নাকি বিজেপি সাংসদের চিঠি ব্যবহার করছে। চিঠি থাকলে ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে না বিএসএফের তল্লাশি-জেরার। স্বরূপনগর, ঘইরাডাঙা, হাকিমপুর, কিটিন্ডা, পেট্রাপোল কার্যত পরিণত হয়েছে পাচারের খাসতালুকে।
উল্লেখ্য, শান্তনু ঠাকুরের এমন সুপারিশের চিঠি অতিসম্প্রতি প্রকাশ করেছে এক জনপ্রিয় বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র। চিঠিতে দেখা যাচ্ছে, গত ২ জুলাই নিজের লেটারহেডে জনৈক জিয়ারুল গাজি নামের এক ব্যক্তিকে অনুমোদন দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জিয়ারুল হাকিমপুরের বাসিন্দা। সীমান্ত এলাকায় ৩ কেজি করে গো-মাংসের কারবার চালানোর জন্য তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়ার সুপারিশ করেছেন শান্তনু! বিএসএফের ৮৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাকেও চিঠি দিয়েছেন পদ্ম-সাংসদ। মতুয়া ঠাকুর বাড়ির সদস্য এভাবে সরাসরি গো-মাংসের কারবারকে উৎসাহিত করায় স্বাভাবিকভাবেই চরম অসন্তোষ দানা বেঁধেছে সংঘের মধ্যে। সঙ্ঘের গো-সেবা গতিবিধির পশ্চিমবঙ্গ শাখার কো-অর্ডিনেটর ললিত আগরওয়াল বলেন, বেআইনি বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জড়িত থাকাটা আশ্চর্যজনক। আরএসএসের শীর্ষ আধিকারিকদের বিষয়টি জানানো হবে বলেও জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে পদ্মশিবিরকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, সীমান্ত এলাকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মদতেই অবাধে চলছে বেআইনি ব্যবসা। এমন অবৈধ কারবার চালানোর জন্য নাকি স্থানীয়স্তরে প্রথমে নিলাম ডাকা হয়। বিরাট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কয়েকজন বরাত পান। তারপর চড়া দামে বিক্রি করা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ‘লিখিত পারমিট’। আর তা দেখিয়েই চোরাচালান চলছে রমরমিয়ে।