শেষ রয়েছে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন। তবে ভোটপর্ব সমাপ্ত হলেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি নিয়ে চর্চা চলছে দেশজুড়ে। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে কার্যকর হয়েছে সিএএ। দেশের নানা প্রান্তে কয়েক জন আবেদনের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব পেয়েও গিয়েছেন। তবে এ নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। এই আবহে সিএএ-র পরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এনআরসি চালুর পথে এগোবে বলে আশঙ্কিত বিরোধী শিবির। বহু মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। ভোটের প্রচারে এ রাজ্যে সিএএ-প্রসঙ্গ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচারে উঠে এসেছে। আর এমতাবস্থায় এনআরসি চালু নিয়ে বিতর্ক নতুন করে উস্কে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। আগামী ১০ জুলাই বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। রবিবার ওই এলাকাতেই মতুয়াদের একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন শান্তনু। সেখানে মতুয়া ভক্তদের বলেন, ‘‘আগামী দিনে যদি ভারতবর্ষে কোনও সরকার এনআরসি চালু করে, তা হলেও মতুয়ারা এর আওতায় পড়বেন না।’’ তবে এর জন্য সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব নিতে হবে বলে জানান তিনি।
পাশাপাশি, শান্তনুর কথায়, “নাগরিকত্বের জন্য আপনারা আবেদন করুন। শংসাপত্র পাবেন। তখন আগামী দিনে ভারতবর্ষে কোনও সরকার এনআরসি চালু করলেও আইন অনুযায়ী আপনারা তার আওতায় পড়বেন না।” স্বভাবতই এই বক্তব্যে এনআরসি চালুর ইঙ্গিত দেখছেন বিরোধীরা। বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। ‘‘মতুয়ারা জানেন, তাঁরা ভোট দেন, তাঁরা এ দেশের নাগরিক। তাঁরা সিএএ-তে আবেদন করছেন না বলে শান্তনু এনআরসির ভয় দেখিয়ে আবেদন করানোর চেষ্টা করছেন’’, স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।
