ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার প্রতি দুয়োরানিসুলভ আচরণ অব্যাহত রেখেছে মোদী সরকার। বারবার উঠেছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ। একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা, এমনকী বাংলার গ্রামোন্নয়নের টাকাও আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। গ্রামোন্নয়নের একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্র সরকার যে পরিমাণ বকেয়া আটকে রেখেছে, ইতিমধ্যেই সেই তথ্য তৈরির নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আটকে রাখা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। যে টাকা কেন্দ্রের দেওয়ার কথা, তা রাজ্য সরকার দিয়েছে। বাংলায় ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে এখনও পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে আবাস প্রকল্পের টাকা। একশো দিনের কাজের প্রকল্পের টাকার পর আবাসের টাকাও দেবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিভিন্ন কাগজপত্র থেকে শুরু করে চিঠি পাঠানোর পরও মেলেনি বরাদ্দ টাকা। যাবতীয় তথ্য রিপোর্ট হিসাবে পাঠিয়েছে রাজ্য। দ্বিতীয় মোদী সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী গিরিরাজ সিং ও তাঁর অফিসারদের সঙ্গে বারবার সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী ও অফিসাররা। কিন্তু টাকা মেলেনি। কেন্দ্রীয় দল বারবার এসেছে। নতুন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রত্যেক রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করবেন ধাপে ধাপে। প্রস্তুতি শুরু করেছে নবান্ন। চিঠি থেকে শুরু করে বকেয়ার নথি ও কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো নথি এক ফাইলে রাখার কাজ চলছে। সেখানে থাকবে সব রিপোর্টই। কোন প্রকল্পে কত বকেয়া রয়েছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে পেশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, সব রাজ্যের সঙ্গে নতুন গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী পর্যালোচনা শুরু করেছেন। নামের প্রথম অক্ষর মেনে ডাকা হলে বাংলার ডাক আসতে স্বাভাবিকভাবেই বিলম্ব হবে। সাক্ষাতে মন্ত্রীকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে রাজ্য। বকেয়ার সামগ্রিক তথ্য কেন্দ্রকে চিঠি লিখে পাঠাতে পারেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে এমনটাই।