দীর্ঘ ট্রফি খরায় এসেছে ইতি। ১৩ বছর পর ফের বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। শনিবার বার্বাডোজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতেই আবেগঘন হয়ে পড়েন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি অনেকে। অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়াও ব্যতিক্রম নন। হাউহাউ করে কেঁদেছেন। সতীর্থদের জড়িয়ে ধরেছেন। তার পরে হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে মাঠে ঘুরেছেন। তাঁর অশ্রুসিক্ত চোখ বুঝিয়ে দিচ্ছিল, কতটা স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, গত ৬ মাস ধরে এই দিনটারই অপেক্ষা করছিলেন তিনি। জবাব দেওয়ার অপেক্ষা।
সারা টুর্নামেন্টেই ব্যাটে-বলে দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন হার্দিক। ফাইনালে ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচের রাশ যখন প্রায় দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে, সেসময় উইকেট তুলে লড়াইয়ে ফিরিয়েছেন ভারতকে। শেষ ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে দেশকে এনে দিয়েছেন বিশ্বকাপ। জেতার পরে কথা বলতে গিয়ে হার্দিক বলেন, “খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছি। অনেক পরিশ্রম করেছি। কিন্তু সাফল্য আসছিল না। আমার কাছে এটা আরও বিশেষ মুহূর্ত। কারণ, গত ৬ মাসে আমার সঙ্গে অনেক কিছু হয়েছে। চুপ করে ছিলাম। একটাও কথা বলিনি। জানতাম, যদি পরিশ্রম করে যাই তা হলে একদিন জবাব দেওয়ার সুযোগ পাব। জানতাম, একদিন এই দিনটা আসবে।” সময় কঠিন এলেও নিজেদের উপর বিশ্বাস ছিল বলে জানিয়েছেন হার্দিক। তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্বাস ছিল। পরিকল্পনা করেছিলাম। সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। শেষ পাঁচ ওভারের জন্য বুমরা ও বাকি বোলারদের ধন্যবাদ। নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। প্রতিটা বলে ১০০ শতাংশ দিয়েছি। সব সময় চাপ সামলাতে ভালবাসি। এই ম্যাচেও চাপের মধ্যে থেকে জিতেছি।” কোচ হিসাবে বিশ্বকাপ জিতেছেন রাহুল দ্রাবিড়। এর পরেই কোচের পদ ছাড়বেন তিনি। দ্রাবিড়ের জন্য খুশি হার্দিক। তিনি বলেন, “দ্রাবিড় খুব ভাল মানুষ। ওঁর জন্য খুব আনন্দ হচ্ছে। ওঁর অধীনে খুব ভাল সময় কেটেছে। ওঁকে যে এই ধরনের বিদায় দিতে পেরেছি তাতে আমরা খুব খুশি। আমাদের সম্পর্ক বন্ধুর মতো হয়ে গিয়েছিল।” কথা বলার শেষ দিকে হার্দিকের কাছে চলে আসেন রোহিত। জড়িয়ে ধরে তাঁর গালে স্নেহের চুম্বন এঁকে দেন। তার পরে একসঙ্গে উদযাপনে মেতে ওঠেন দুজন।