চলতি লোকসভা নির্বাচনেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বিজেপি। শরিকদের ভরসাতেই তৃতীয়বার সরকার গঠন করতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই পরিস্থিতিতে অস্তিত্বরক্ষায় মিথ্যাচার আর অনৈতিক কাজের পথ ধরেছে গেরুয়া শিবিরের। সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা, শুধুমাত্র তথ্যের বিকৃতি নয়, ছবিরও বিকৃত ব্যাখ্যা দিতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠা করছে না তারা। মানুষের চোখে বিরোধীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে অত্যন্ত বিকৃত রুচির পরিচয় দিয়ে চলেছে মোদী-শাহের দল। তাদের এমনই এক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপচেষ্টা বেআব্রু হয়ে গিয়েছে সম্প্রতি।
লোকসভার অধিবেশনে তৃণমূলের ৩ মহিলা সাংসদের ছবি বিকৃত করে তুলে ধরে তার অপব্যাখ্যা করেছিল বিজেপির আইটি সেল। ছবিটি সংসদের অধিবেশনের একটি মুহূর্ত। পাশাপাশি বসে খুবই মন দিয়ে সামনের এক আপ সাংসদের ভাষণ শুনছিলেন তৃণমূলের ৩ মহিলা সাংসদ মহুয়া মৈত্র, জুন মালিয়া, এবং সায়নী ঘোষ। কোনও বিষয়ে বা কথায় গভীর মনোনিবেশ করার সময় এক-একজনের ভঙ্গিমা এক-একরকম হতেই পারে। সেটা নির্ভর করে ব্যক্তিবিশেষ এবং পরিবেশের ওপরে। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনও নিয়ম থাকতে পারে না।
কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব সংসদ টিভি থেকে তেমনই একটি মুহূর্তের স্ক্রিনশট নিয়ে ছবিটি বিকৃত করে পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অপব্যাখ্যাও করেছেন। বামেদের একাংশও আবার তাতে পোঁ ধরেছে। এই পরিস্থিতিতে সত্য সামনে এনেছে তৃণমূল। সংসদের প্রতিটি কাজকর্মে তৃণমূল সাংসদরা কতটা সজাগ, তৎপর এবং আন্তরিক তা তুলে ধরা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপি দলটাই বিকৃত মানসিকতার। বিকৃত রাজনীতির। তাই ওরা এ সবই করে। এগুলো হাস্যকর। কথা বলতে বলতে সবারই চোখের পলক পড়ে। সেই ছবি দিয়ে কেউ যদি বলে ঘুমোচ্ছে, সেটা কি কোনও কাজের কথা হল?