দলের প্রধান নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে দেখার বাসনা কম-বেশি সব দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেই থাকে। সে কথা বলে স্লোগানবাজিও নতুন কিছু নয়। লালুপ্রসাদ যাদব তো একবার কার্যত নিজেকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দাবি করে দলের ইস্তাহারে বলেছিলেন, ভোটের পর বিহারবাসীর দিল্লির কনট প্লেসে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ রইল।
কিন্তু অখিলেশ যাদবের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। লখনউ-সহ উত্তরপ্রদেশ, বিশেষ করে দিল্লি লাগোয়া গাজিয়াবাদ, নয়ডা এলাকায় বিশাল পোস্টার, হোর্ডিং বসানো হয়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রী অখিলেশ যাদব।
হঠাৎ এমন আয়োজনের কারণ ১ জুলাই সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশের জন্মদিন। সদ্য অনুষ্ঠিত লোকসভা ভোটে দলের বিপুল সাফল্যের পর নেতার জন্মদিন পালনে গোটা দল তাঁকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরে বাড়তি সম্মান জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে।
সদ্য গঠিত লোকসভায় সমাজবাদী পার্টি তৃতীয় সর্বোচ্চ আসনের অধিকারী। উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে সাইকেল প্রতীকে জেতা সাংসদের সংখ্যা ৩৭। পদ্মের চেয়ে চারটি বেশি। গত তিন দশকে দলের এমন সাফল্যের নজির নেই। স্বয়ং অখিলেশ ছাড়াও জিতেছেন তাঁর স্ত্রী ডিম্পল, বড় কাকা রাম গোপাল যাদব। এছাড়া যাদব পরিবারের আরও দু’জন জিতেছেন। ফলে এবারের ১ জুলাইয়ের তাৎপর্যই আলাদা।
দলের কর্মী-সমর্থকদের এমন আয়োজনে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন অখিলেশ। ইন্ডি জোটের মধ্যে যাতে ভুল বোঝাবুঝি না হয় এবং বিজেপি নিশানা করতে না পারে, সে জন্য কয়েক লাইনের বিবৃতিও দিয়েছেন সমাজবাদী নেতা। বলেছেন, পোস্টারে দাবি করলেই কেউ প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান না। এসব ছেলেমানুষি না করাই ভাল। ‘পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী’ লেখা ব্যানার-পোস্টার সরিয়ে ফেলার নির্দেশও দেন। যদিও তাতে কর্ণপাত করেনি কর্মী-সমর্থকেরা। সেগুলি যেমন ছিল তেমনই আছে।