অবশেষে কেটেছে জমি-জট। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে টানাপোড়েনে পড়েছে ইতি। এবার বিদেশ থেকে ফিরে নিশ্চিন্তে নিজের বাসভবন ‘প্রতীচী’তে এলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। বুধবার গভীর রাতে তিনি দমদম বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে পৌঁছন শান্তিনিকেতনে। তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধানচন্দ্র রায় ও মহকুমা শাসক অয়ন নাথ-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। দীর্ঘ যাত্রায় যথেষ্ট ক্লান্ত হয়ে পড়েন ৯১ বছরের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তাই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেও কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি অমর্ত্য সেন। আগামী ১০ই জুলাই পর্যন্ত তিনি শান্তিনিকেতনে থাকবেন। তাঁর নিরাপত্তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন সূত্র। জমি নিয়ে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অভিযোগ ছিল, ‘প্রতীচী’তে ১৩ ডেসিমেল মতো জমি বেআইনিভাবে রয়েছে, যা বিশ্বভারতীর জমি। তাঁকে উচ্ছেদ নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে রাজ্য জুড়ে।
এ নিয়ে দীর্ঘ আইনি টানাপোড়েনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে জট কাটে। নিজে শান্তিনিকেতনে গিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করে পাশে দাঁড়ান তিনি। সেইসঙ্গে উদ্যোগ নিয়ে জমির মিউটেশনের কাগজপত্র তুলে দেন নোবেলজয়ীর হাতে। সিউড়ি আদালতে শুনানির পর এই মামলার নিষ্পত্তি হয়। গত ৩১শে জানুয়ারি অবশেষে জটিলতা কাটিয়ে জমি ফিরে পান অমর্ত্য সেন। তার পর থেকে তাঁর বাড়িতে নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। সেই জটিলতার কেটে যাওয়ার পর এই প্রথম শান্তিনিকেতন এলেন অমর্ত্য সেন। নিশ্চিন্তে এবার নিজের বাড়িতে ফিরলেন। যদিও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেও তেমন কিছু নিয়ে কথা বলতে চাননি তিনি। বৃহস্পতিবারও অমর্ত্য সেন কারও সঙ্গে দেখা করেননি। নিজের বাড়িতেই বিশ্রামে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ১০ই জুলাই পর্যন্ত ‘প্রতীচী’তেই থাকবেন তিনি।