প্রথম বর্ষাতেই ছাদ চুঁইয়ে জল পড়তে দেখা গিয়েছে রামলালার গর্ভগৃহে। গত জানুয়ারিতে উদ্বোধন হওয়া মন্দিরের এমন বেহাল অবস্থার জন্য বিজেপি সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন ভক্তরা। এর মধ্যেই আর এক বিপত্তি। ধস নেমেছে রামপথে। গতকাল, বুধবার রাতের দিকে আচমকাই রামমন্দিরে প্রবেশের মূল পথই কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হলেও প্রশ্ন উঠছে রাস্তার মান নিয়ে।
বছরের গোড়াতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করেছিলেন রামমন্দিরের। মন্দিরের যাওয়ার যে রাস্তা তা ছিল সরু। উদ্বোধনের আগে আশপাশের বাড়ি ও অন্যান্য নির্মাণ সরিয়ে দিয়ে যোগী সরকার বানিয়েছিল চওড়া রাস্তা। কিন্তু সেই রাস্তার মাত্র পাঁচ মাসেই বেহাল অবস্থায় পৌঁছে যাওয়ায় বিতর্ক তৈরি হল। কোটি কোটি টাকায় খরচ হওয়া রামপথের একটা অংশ কী করে ধসে গেল সামান্য বৃষ্টিতে উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, এর আগে শনিবারও রামপথে ধস নেমেছিল। রিকাবগঞ্জের কাছাকাছি বৃষ্টির প্রকোপে ওই দশা হওয়ার পর দ্রুত বালি-পাথর দিয়ে মেরামত করা হয়। এবার ফের রামপথের অন্য একটি অংশে ধস নেমে গেল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি মহা আড়ম্ভবরের সঙ্গে রামমন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভিভিআইপি এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো সারা দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের। এই পরিস্থিতিতে এই সপ্তাহেই দেখা যায় ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে। এহেন পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাসকে বলতে শোনা গিয়েছে, “যদি দু’একদিনের মধ্যে কোনও ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে বাধ্য হয়েই আমাদের বন্ধ করতে হবে পূজাপাঠ। সেক্ষেত্রে ভক্তদের জন্যও বন্ধ করে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা।”
যদিও অযোধ্যায় শ্রীরামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্রর সাফাই, মন্দির নির্মাণে প্রযুক্তি, সরঞ্জাম বা অন্য কোনও ত্রুটি নেই। আদতে বিদ্যুতের লাইনগুলি দিয়েই জল পড়ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই বিতর্কের মধ্যেই এবার ধস নামল রামপথে।