শুক্রবার নিট ইস্যুতে উত্তাল হতে পারে সংসদ। বিরোধীরা যে ২৪ লক্ষ প্রতারিত পড়ুয়ার হয়ে সংসদে আওয়াজ তুলতে চায়, সেটা অধিবেশন শুরুর আগেই জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। একই সঙ্গে তাঁর আশঙ্কা, নিট নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারলে সরকার পক্ষ অধিবেশনে বাধার সৃষ্টি করতে পারে।
গত ২৪ জুন নিটের প্রশ্নফাঁস নিয়ে দেশব্যাপী আন্দোলনের মাঝেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে মমতা দাবি জানান, মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষায় ফেরানো হোক পুরানো পদ্ধতি। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নিট বাতিল করে আগের মতোই হোক রাজ্যভিত্তিক জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। মমতার বক্তব্য ছিল, “২০১৭ সালের আগে পর্যন্ত রাজ্যগুলি আলাদা আলাদা ভাবে মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষার আয়োজন করত। এই পদ্ধতি মসৃণভাবেই চলছিল। হঠাৎ সেই নিয়ম বাতিল করে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় কেন্দ্র। রাজ্য সরকার প্রত্যেক ডাক্তারের শিক্ষা ও ইন্টার্নশিপ বাবদ ৫০ লক্ষ টাকা করে প্রায় খরচ করে। সুতরাং রাজ্য সরকারকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার মাধ্যমে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।’
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা মমতার সেই চিঠি তুলে ধরেই এদিন ডেরেক জানান, “আজ সংসদে ইন্ডিয়া শিবিরের সাংসদরা ২৪ লক্ষ প্রতারিত পড়ুয়ার দাবি প্রতিধ্বনিত করতে চায়। নিট বেনিয়ম এবং পেপার লিক নিয়ে আজ সরকারকে আলোচনা করতেই হবে।” এরপরই তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, “নিট ইস্যুতে কোণঠাসা সরকার শুক্রবার সংসদ অধিবেশনে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে। কারণ ওদের কাছে কোনও উত্তর নেই।”