বেআইনি ভাবে জমি দখল, পুকুর ভরাট করে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে বৃহস্পতিবার কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রী জানান যে, তিনি শুনেছেন, আসানসোলের আরএসএস দফতর পুকুর ভরাট করে তৈরি হয়েছে। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই আরএসএসের ওই দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। পুলিশ, আসানসোল পুরসভা ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের একটি দল সেখানে গিয়ে জমির নথিপত্র দেখতে চেয়েছিল। এর পর শুক্রবার নোটিসও পৌঁছে গেল। নোটিসে জানানো হয়েছে, আগামী সাত দিনের মধ্যে জমি-বাড়ির প্রয়োজনীয় জমা দিতে হবে পুরসভার কাছে।
আসানসোল পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাউথ ধাদকার জেসি বোস লেনে আরএসএস ভবনটি রয়েছে। ওই তিনতলা ভবনটি পুকুর ভরাট করে তৈরি হয়েছে বলে মমতা অভিযোগ করার পরেই সরকারি আধিকারিকদের সেখানে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন আরএসএস কর্মীরা। আরএসএস সূত্রে খবর, তাঁদের কাছে জমিবাড়ির কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। তারাও জানিয়েছে, যদি নোটিস দেওয়া হয়, তা হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সেই সব নথি প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেই মতোই নোটিস ধরানো হয়েছে বলে জানান আসানসোল পুরসভার মেয়র বিধান উপাধ্যায়। চিঠির প্রতিলিপি আসানসোল উত্তর থানা ও ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরেও পাঠানো হয়েছে। নথি হিসেবে চাওয়া হয়েছে জমি কেনার দলিল, জমির চরিত্র বদলের নথি, আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের অনুমোদনের কাগজ (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট), পাশ হওয়া বাড়ির নকশা এবং আসানসোল পুরসভার হোল্ডিং ট্যাক্সের কাগজ।
মেয়র বলেন, ‘‘সাত দিনের মধ্যে সমস্ত নথি জমা দিতে হবে। নথি জমা দিতে না পারলে আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা হয়, তা পূরনিগমের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ভেঙে দেওয়া হবে। তৃণমূলের একটি অফিস ছিল আসানসোল সার্কিট হাউসের পাশে জিটি রোডের ধারে। আমরা সেটাও ভেঙে দিয়েছি। অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে দল, মত নির্বিশেষে কাজ হবে।’’