কাশ্মীর নিয়ে ২০১০ সালে এক বক্তৃতা রেখেছিলেন লেখিকা ও মানবাধিকারকর্মী অরুন্ধতী রায়। সম্প্রতি সেই বক্তব্যের রেশ টেনে ১৪ বছর পর তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ বা সন্ত্রাস দমন আইনে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয় কুমার সাক্সেনা। সেই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। সেই ঘটনার ১০দিনের মাথায় ‘পেন পিন্টার প্রাইজ’ পেলেন অরুন্ধতী রায়।
বুকারজয়ী লেখিকা অরুন্ধতী রায় এই খবর পাওয়া মাত্রই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে তিনি এই পুরস্কার পেয়ে অত্যন্ত খুশি। নাট্যকার হ্যারল্ড পিন্টারের স্মরণে ইউকে, আয়ারল্যান্ড ও কমনওয়েলথে সাহিত্যের পুরস্কার হিসেবে প্রতিবছর পেন পিন্টার প্রাইজ দেওয়া হয়। এবছর সেই পুরস্কার পেতে চলেছেন অরুন্ধতী রায়।
২০০৯ সালে ইংলিশ পেন এই পুরস্কার প্রবর্তন করে। ইংলিশ পেন মূলত দাতব্য প্রতিষ্ঠান। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সাহিত্য নিয়ে কাজ করে। ব্রিটিশ লাইব্রেরি আয়োজিত অনুষ্ঠানে আগামী ১০ অক্টোবর তিনি পেন পিন্টার প্রাইজ গ্রহণ করবেন। এর আগে মাইকেল রোজেন, ম্যালোরি ব্ল্যাকম্যান, মার্গারেট অ্যাটউড, সালমান রুশদি, টম স্টপার্ড ও ক্যারল অ্যান ডাফি এ পুরস্কার জিতেছেন।
ইংলিশ পেনের চেয়ারম্যান রুথ ব্রোথউইক অবিচারের জরুরি গল্পগুলো বুদ্ধিমত্তা এবং সৌন্দর্যের সঙ্গে তুলে ধরার জন্য অরুন্ধতী রায়ের প্রশংসা করেন। ব্রোথউইক বলেন, ‘অরুন্ধতীর লেখায় ভারত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে থাকলেও তিনি সত্যিকারের একজন আন্তর্জাতিকতাবাদী চিন্তাবিদ এবং তাঁর শক্তিশালী কণ্ঠকে স্তব্ধ করা যাবে না।’পুরস্কার জেতার প্রতিক্রিয়ায় অরুন্ধতী রায় বলেছেন, ‘বিশ্ব যে দুর্বোধ্য দিকে মোড় নিচ্ছে, তা নিয়ে লেখার জন্য হ্যারল্ড পিন্টার আমাদের সঙ্গে থাকলে ভালো হতো। কিন্তু তিনি যেহেতু নেই, আমাদের কাউকে তাঁর সেই শূন্যতা পূরণ করতে হবে।’