বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে জিতলেও রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী, রানাঘাট দক্ষিণের মুকুটমণি অধিকারী এবং বাগদার বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূলে যোগ দেন। তিন জনই সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হন বিধায়ক পদ ছেড়ে। তিন জনই হেরেছেন। কিন্তু তাঁদের খালি তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। মানিকতলা কেন্দ্রের ভোট হচ্ছে তৃণমূল বিধায়ক সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর কারণে। লোকসভা নির্বাচনের বিপর্যয়ের মধ্যে এই চারটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে লড়তে নামতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। যার তিনটি আসনে একুশের ভোটযুদ্ধে জিতেছিল তারা। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটে পরাজয়ের রেশ কাটিয়ে তারা ওই তিনটি আসন ধরে রাখতে পারবে কি না, সেটাই এখন দেখার।
ঘটনাচক্রে, লোকসভা ভোটে ওই আসনগুলিতে ‘স্বস্তিজনক’ ভোটে এগিয়ে রয়েছে পদ্মশিবির। কিন্তু ইতিহাস বলছে, উপনির্বাচনে সাধারণত শাসকদল এগিয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে জেতা আসন ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে হেরেছে বিজেপি। তার পরে পদ্মশিবির থেকে তৃণমূলে যাওয়া তিন বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে বিজেপির আসনসংখ্যা এখন ৭১। এদিকে, বিজেপির টিকিটে বিধায়ক মুকুল রায়, হরকালী প্রতিহার এবং সুমন কাঞ্জিলাল এখনও মনেপ্রাণে তৃণমূল। ফলে বিধানসভায় বিজেপির শক্তি কমে ৬৮ হয়ে গিয়েছে। উপনির্বাচনে ৬৮-কে ৭১ করার সুযোগ পাচ্ছে বিজেপি। তেমন হলে তারা খানিকটা মানরক্ষা করতে পারবে। যা একপ্রকার চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে।