সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকে সমস্যা লেগেই রয়েছে বঙ্গ বিজেপিতে। ফের মাথাচাড়া দিয়েছে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব। এবার মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে বর্ধমানে বিজেপির জেলা পার্টি অফিসে বিজেপির আদি-নব্য দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হল। ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার রাতে। ভাঙচুর করা হয় চেয়ার জখম হয়েছেন আদি গোষ্ঠীর তিনজন কার্যকর্তা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে ঘটনা সামাল দিতে হয়। আদি গোষ্ঠীর অভিযোগ, সিপিএম থেকে আসা এক নব্য বিজেপি নেতার অনুগামীরা পার্টি অফিসে জমিয়েছিলেন মদের আসর বসাচ্ছে। প্রতিবাদ করলে আক্রমণের স্বীকার হয় বিজেপির আদি নেতাদের। এক আদি বিজেপি নেতা প্রশান্ত আইচ জানান, “আদি কর্মীরা বিনা স্বার্থে দল করেন। সংগঠন শক্তিশালী করার জন্য কাজ করেন। কিন্তু সিপিএম থেকে আসা কিছু লোকজন বিজেপির সর্বনাশ করছে। তারা বিজেপি অফিসে বসাচ্ছে মদের আসর। কোনও নিয়ম মানতে চাইছে না। প্রতিবাদ করলে মারধর, হেনস্থা করা হচ্ছে।”
পাশাপাশি, প্রশান্তর আরও অভিযোগ, “দলবদলু নেতাদের জন্যই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বাহেল দশা। ওদের মুখ দেখলেই লোকে আর ভোট দিতে চাইছে না। নিজেদের আখের গোছানোর জন্যই ওরা ভারতীয় জনতা পার্টিতে এসেছেন।” তিনি জানান যে, পার্টি অফিসে মদের আসর বসানো ঠেকাতে আদিদের লড়াই জারি থাকবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্য বিজেপির অফিসে মদের আসর বসাকে কেন্দ্র করে গাদা গাদা অভিযোগে রীতিমতো তিতিবিরক্ত ছিলেন জে পি নাড্ডা। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি কোনও পরিবর্তন হয়নি। তার উপর বর্ধমানে এর আগেও বহুবার হয়েছে আদি এবং নব্যদের সংঘর্ষ। হয়েছিল পার্টি অফিস ভাঙচুরও। রাজ্য নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও মেলেনি কোনও সমাধান। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। “যে দলের পার্টি অফিসে বসছে নেশার আসর, সেই বিজেপি দলটা সমাজসেবা করবে কীভাবে? ঠিক এই কারণেই বাংলার মানুষ ওদের ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে”, স্পষ্ট বক্তব্য তাদের।