ক্রমশই অস্বস্তি বাড়ছে মোদী সরকারের। নিট-পরীক্ষার পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি ঘিরে তোলপাড় সারা দেশ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রককে তুলোধোনো করেছ বিরোধীরা। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই অবস্থায় এনটিএ ডিজি সুবোধ কুমার সিং-কে আগেই সরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু চেয়ারম্যান প্রদীপকুমার যোশীকে কেন এখনও তাঁর পদে বহাল রাখা হয়েছে ,সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। প্রদীপকেও সরাতে হবে, এই দাবি করছে হাত শিবির। উল্লেখ্য, এনটিএ চেয়ারম্যান পদে আসার আগে ইউপিএসসি চেয়ারম্যান পদে ছিলেন প্রদীপকুমার যোশী। মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগড়ে বিজেপি সরকারের সময়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, এই ব্যক্তি আদতে আরএসএস ঘনিষ্ঠ। এত বড় পদে থাকার কোনও যোগ্যতাই নেই তাঁর। কিন্তু আরএসএস যোগ থাকার জন্যই প্রদীপের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, এনটিএ-এর ডিজিকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার প্রদীপ সিং খারোলাকে। হাত শিবিরের দাবি, গদি বাঁচাতেই সুবোধ কুমারকে সরাতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু স্রেফ আরএসএস-এর নাম প্রদীপ কুমার যোশীর সঙ্গে জুড়ে থাকার কারণে সরকারের কোনও হেলদোল নেই। কংগ্রেসের দাবি, নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় প্রদীপ যোশীর বড় ভূমিকা থাকতে পারে। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু তা তো করা হচ্ছেই না। বরং দেশজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ উপাচার্যদের নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ নিয়েই যাচ্ছেন প্রদীপ। নিট নিয়ে এত বিতর্ক সত্ত্বেও পরীক্ষা কেন বাতিল করা হয়নি, সেই ব্যাপারে ইতিমধ্যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর বক্তব্য, ২০০৪ এবং ২০১৫ সালের ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার মতো ২০২৪ সালে নেটের প্রশ্নফাঁসের ঘটনার প্রভাব নয়। তাই পরীক্ষা বাতিল করা হয়নি। ইতিমধ্যে যে ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীর ‘অতিরিক্ত নম্বর’ পাওয়ার কারণে নিট পরীক্ষা বাতিল করেছিল শীর্ষ আদালত, তাদের ফের পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে ১৫৬৩ জনের মধ্যে পরীক্ষায় বসেন কেবল ৮১৩ জন পরীক্ষার্থী।