মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। অনবদ্য ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দলকে জয়ের পথ দেখিয়েছেন বুমরা, অর্শদীপ, কুলদীপ, অক্ষর। রোহিত শর্মার ৪১ বলে করা ৯২ রানের ইনিংসই ভিত গড়ে দেয় ভারতের জয়ের। মাত্র ৮ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হয়েছে রোহিতের। তা নিয়ে অবশ্য আফসোস নেই তাঁর। খেলার ধরন বদলাবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা হয়েছেন রোহিত। খেলা শেষে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, চলতি বিশ্বকাপে এটাই তাঁদের খেলার ধরন। তা বদলাবেন না তাঁরা। রোহিত বলেন, “শতরান না হওয়ায় আমার কোনও আফসোস নেই। আমি আগেই বলেছি, ৫০ বা ১০০ রান আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের কাজ বোলারদের চাপে রাখা। তার জন্য আক্রমণাত্মক ক্রিকেট জরুরি। এটাই আমাদের খেলার ধরন। এটা আমরা বদলাব না।” পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। একের পর এক বড় শট খেলেছেন।
এদিন রোহিত বলেন, “ওরা হাওয়ার বিরুদ্ধে বল করার চেষ্টা করছিল। আপনাকে বুঝতে হবে যে বোলারেরা বুদ্ধি খরচ করবে। তাই ওদের বিরুদ্ধে আপনাকেও বুদ্ধি করে খেলতে হবে। আমি সেটাই করেছি। যে দিকে ফিল্ডার ছিল না সে দিকে বেশি শট খেলেছি। হাওয়ার সাহায্যে শট খেলার চেষ্টা করেছি। যতটা সম্ভব বড় শট খেলার চেষ্টা করছিলাম। এই পিচে ব্যাটিং সহজ। ব্যাটারেরা নিজেদের উপর আস্থা রেখেছে। সেটা ম্যাচে দেখা গিয়েছে।” ২০৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মাঝের ওভারে কুলদীপ যাদব খেলা ঘুরিয়ে দেন। মিচেল মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আউট করেন তিনি। ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠের জন্যই কুলদীপকে নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রোহিত। “এখানকার পিচে যে কুলদীপ ভাল বল করবে তা জানতাম। নিউ ইয়র্কে পেসারেরা সাহায্য পাচ্ছিল বলে ওকে খেলানো হয়নি। কিন্তু এখানকার পিচে ওকে দরকার। পরের ম্যাচগুলোতেও ওর বড় ভূমিকা থাকবে”, বলেন তিনি।
প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এই ইংল্যান্ডের কাছেই ১০ উইকেটে হেরে বিদায় নিয়েছিল রোহিতদের। পুরনো কথা মনে রাখতে চান না রোহিত। কে প্রতিপক্ষ সে দিকেও নজর দিতে চান না। “আমরা আলাদা কিছু করতে চাইছি না। যে ক্রিকেট খেলছি সেটাই পরেও খেলব। কে প্রতিপক্ষ তা দেখার দরকার নেই। সবাইকে বলেছি, স্বাধীন ভাবে খেলতে। চাপ না নিতে। এই রকম ক্রিকেট খেললেই আমরা সফল হব”, বক্তব্য ভারত অধিনায়কের।