নেট ও নিট পরীক্ষার দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় সারা দেশ। প্রবল নিন্দার মুখে মোদী সরকার। প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম দিনেই পাওয়া গেল সেই আঁচ। প্রথা অনুযায়ী আজ, প্রথম দিন নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণ ছিল। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের নাম ঘোষণা হতেই নিম্নকক্ষ জুড়ে ‘নিট নিট, শেম, শেম’ স্লোগান ওঠে। নিজের আসন ছেড়ে প্রোটেম স্পিকারের আসনের পাশে যাওয়া পর্যন্ত বিরোধী বেঞ্চ থেকে ক্রমাগত নিট নিয়ে সরকারের অপদার্থতার জন্য তাঁকে দায়ী করা হয়। এই ঘটনা যে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার লজ্জাজনক বিষয়, তা স্পষ্টতই বুঝিয়ে দেন বিরোধী সদস্যরা। নিট পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নিয়ে ইতিমধ্যেই জর্জরিত কেন্দ্র ও শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। বিরোধীদের দাবি, নিট ও নেট-ইউজিসির দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে শিক্ষামন্ত্রীকে। রাহুল গান্ধী থেকে সমস্ত বিরোধীরা একযোগে নিট-ইউজি ২০২৪ পরীক্ষা ও নেট-ইউজিসি নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছে। লোকসভা ও রাজ্যসভাতেও সরকারপক্ষকে তীব্র আক্রমণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শুরুর দিনে সাধারণত শান্তিতে শপথবাক্য পাঠের পর্ব চলে। কিন্তু, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের নাম ঘোষণা হতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
সোমবার বিরোধীরা একযোগে ধর্মেন্দ্রকে উদ্দেশ করে ‘শেম শেম’ স্লোগান দিতে থাকেন। এদিন সকালেই লোকসভার দরজা খোলার আগে ইন্ডিয়া জোটের বিক্ষোভের মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেস, তৃণমূল সহ তামাম ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলের এমপিরা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ভারতের সংবিধান হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নরেন্দ্র মোদী সরকার সংবিধানকে লঙ্ঘন করেছে। আমরা সংবিধান রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। যে পদ্ধতিতে লোকসভার প্রোটেম স্পিকার নিয়োগ করা হয়েছে, তাতে স্পষ্টত সংবিধানের বিধি এবং অতীতের পরম্পরাকে ভেঙে দিয়েছে বিজেপি।” নিট বিতর্ক নিয়ে এদিন সরব হন ইন্ডিয়া জোট শরিক ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সাংসদ মহুয়া মাঝি। “নিট দেশের সামনে বিরাট জটিল একটা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। মধ্যবিত্তরা বেসরকারি কলেজের খরচ চালাতে পারেন না। তাই সকলেই সরকারি কলেজে পড়তে চান। এই অনিয়মের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। গোটা প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের ব্যর্থতা ও অপদার্থতার জন্য ঘটেছে”, সাফ জানান তিনি।