তৎপরতার পথে হাঁটল রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, পুরসভা নিয়ে আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার নবান্নে মেয়র ও পুরসভার চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন মমতা। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই পুরসভাগুলির কাজ নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে পৌরসভাগুলোর পরিষেবা ও কাজকর্মের রিপোর্ট দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই নবান্নে পুরকর্তাদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফল করলেও শহরাঞ্চলে তুলনায় খারাপ ফল করেছে তৃণমূল। কলকাতার ৪৬/৪৭ টি আসনে পিছিয়ে রয়েছে তারা। এই সব বিষয়গুলির কারণ খতিয়ে দেখতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
পাশাপাশি জল্পনা শুরু হয়েছে, আজ শিলিগুড়ি পৌরসভায় বড় ধরনের রদবদল আসতে চলেছে। লোকসভা ভোটে শিলিগুড়ি বিধানসভা এলাকায় দল হেরেছে ৬৬ হাজারের মতো ভোটে। আর জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১৪টি ওয়ার্ডে দল এ বার ৭০ হাজারের বেশি ভোটে বিজেপির থেকে পিছিয়েছে। উত্তরের পুরসভাগুলিকে নিয়েই বিশেষ ভাবে নজর দিতে চাইছেন তিনি। আগামী বিধানসভা ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী পুরসভাগুলির সক্রিয়তা বাড়াতে চান।