গত বছর ডিসেম্বরে যখন তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, তখনই কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ফিরবেন। মাথা উঁচু করেই ফিরবেন। তার সাড়ে ছ’মাস পর মাথা উঁচু করেই ফের লোকসভায় ফিরলেন মহুয়া। কৃষ্ণনগর থেকে ৫৬ হাজারের বেশি ভোটে জিতে পুনরায় সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। যে লোকসভা থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সাড়ে ছ’মাসের মধ্যে সেখানে আবার ঢুকবেন তিনি। এবং এ বার ঢুকবেন আরও ‘দাপট’ নিয়ে।
সোমবার অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরু। প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মহতাবের তত্ত্বাবধানে সাংসদ হিসাবে শপথ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যেরা। সেই সঙ্গে একাধিক রাজ্যের নির্বাচিত সাংসদদের শপথগ্রহণও হবে সোমবার। মহুয়া সেখানে উপস্থিত থাকবেন। যদিও তাঁর শপথগ্রহণ হবে মঙ্গলে। সোমবার লোকসভা শুরুর আগে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পুরনো সংসদ ভবনের চত্বরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান করবে তৃণমূলের সংসদীয় দল। মহুয়া সেই কর্মসূচিতেও যোগ দেবেন।
সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর লোকসভার বাইরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে মহুয়া বলেছিলেন, ‘আমার বয়স এখন ৪৯ বছর। আগামী ৩০ বছর সংসদের ভিতরে-বাইরে লড়ব আমি। আমাকে ইডি বা সিবিআই দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।’ সোমবার কৃষ্ণনগরের সাংসদ বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর যখন আমাকে অবৈধ ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং সংসদে আমাকে আমার বক্তব্য বলতেও দেওয়া হয়নি, তখন আমি সংসদের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, মাথা উঁচু করে লোকসভায় ফিরব। আমাকে ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় দেখিয়ে দমানো বা হারানো যাবে না। আমি এবং আমরা সেটা করে দেখিয়েছি। আমরা ২৩৪ জন এখন লোকসভায় আছি।’