সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকে সমস্যা লেগেই রয়েছে বঙ্গ বিজেপিতে। ফের মাথাচাড়া দিয়েছে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব। পাশাপাশি, প্রকাশ্যে আসছে সাংগঠনিক দুর্বলতা। আর উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই প্রার্থী পদের টিকিট নিয়ে কোন্দল শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। এবার দলীয় প্রতীক ছাড়াই মনোনয়ন দাখিল করলেন বিজেপি প্রার্থী মানস ঘোষ। শুক্রবার মনোনয়ন দাখিল করেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী বলরাম চক্রবর্তী। যার জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রায়গঞ্জের রাজনীতিতে। গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে বিজেপি গিয়েছিলেন মানস ঘোষ। তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির টিকিট দেওয়ায় ক্ষোভ ছিল বিজেপির একাংশের মধ্যে। প্রতিবাদ জানিয়ে দলের জেলা কার্যালয়ের সামনে অনশনেও বসেন তৎকালীন জেলা সহ-সভাপতি বীণা ঝা। এবার দলবদলু মানসকে বিধানসভা উপ নির্বাচনের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। যা নিয়ে বিদ্রোহ বেড়েই চলেছে দলের ভেতর। প্রবীণ বিজেপি নেতা, কর্মীরা ক্ষুব্ধ। প্রাক্তন জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে পুরনো বিজেপি কর্মীরাও সরব হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটের পর দলীয় প্রতীক ছাড়াই মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন বিজেপি প্রার্থী। একজন প্রার্থী মোট তিনটে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে পারেন। জানা গিয়েছে, মানস ঘোষ একটি মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। দলীয় প্রতীক সম্বলিত ফর্ম ‘এ’ এবং ফর্ম ‘বি’ জমা দেননি। নর্থবেঙ্গল পিপলস পার্টির তরফে মনোনয়ন দাখিল করতে চলেছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী বলরাম চক্রবর্তী। তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন বিদ্রোহী বিজেপি নেতা তথা দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী, বীণা ঝা’র মতো আদি বিজেপি নেতারা। আদি বিজেপি নেতা, কর্মীদের বক্তব্য, কিছুদিন আগে তৃণমূল থেকে আসা দলবদলুকে বিজেপি প্রার্থী করেছে। তাই তাঁরা প্রবীণ এক কর্মীকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন। এক দলবদলুর হয়ে খেটে তাঁরা অন্যের সুবিধা করে দিতে পারবেন না। কাজেই বলরাম চক্রবর্তীকেই সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এহেন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বাড়ছে পদ্মশিবিরের অন্দরে।