টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিনের বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের ৩ উইকেটে হারালেন এডেন মার্করামরা। প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বৃষ্টির জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭ ওভারে ১২৩। পাঁচ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নিল প্রোটিয়া-বাহিনী। ১৬.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তুলে ফেলল তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের অন্যতম নায়ক তাবরেজ সামসি। তাঁর দাপুটে বোলিংয়ের সামনে প্রথমে ব্যাট করেও সুবিধা করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাঁহাতি লেগস্পিনার একাই ৩ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে আঘাত হানেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্য বোলারেরাও চাপে রেখেছিলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটারদের। দু’জন ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনও ব্যাটারই চেনা ২২ গজে রান পেলেন না গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। ওপেনার কাইল মেয়ার্স করলেন ৩৪ বলে ৩৫। মারলেন ৩টি চার এবং ২টি ছক্কা। চার নম্বরে নেমে রোস্টন চেজ খেললেন ৪২ বলে ৫২ রানের ইনিংস। তাঁর ইনিংসেও ৩টি চার এবং ২টি ছয়। বাকিদের মধ্যে আন্দ্রে রাসেল (৯ বলে ১৫) কিছুটা চেষ্টা করেন। আর কেউই দলকে ভরসা জোগাতে পারলেন না। সামসি ৩ উইকেট নিলেন ২৭ রান দিয়ে। ১১ রানে ১ উইকেট কাগিসো রাবাডার। ১৭ রানে ১ উইকেট মার্কো জানসেনের। কেশব মহারাজ ১ উইকেট নিলেন ২৪ রান খরচ করে। ২৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন অধিনায়ক মার্করাম।
দক্ষিণ আফ্রিকা রান তাড়া করতে নেমে ২ ওভার ব্যাট করার পর শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি। বেশ কিছু ক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। পরে ওভার কমে হয় ১৭। জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৩ রান। সেই রান তুলতেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছুটা বেগ পেতে হল। তেমন বড় রান করতে পারলেন না কেউই। তবে দলগত চেষ্টায় জয়ের রান তুলে নিলেন মার্করামেরা। ইনিংসের শুরুটা ভাল করতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকা। রেজা হেনড্রিকস (০) শুরুতেই আউট হন। কুইন্টন ডিককও (১২) রান পেলেন না। শুরুর এই চাপই দক্ষিণ আফ্রিকার কাজ কঠিন করে দেয়। মার্করাম (১৮), ট্রিস্টান স্টাবস (২৯), হেনরিক ক্লাসেনেরা (২২) বড় রান করতে না পারলেও দলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত জয় আসে পাঁচ বল বাকি থাকতেই। ছক্কা মেরে খেলা শেষ করেন জানসেন। ১৪ বলে ২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ দিকে চাপের মুখে ২২ গজে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন রাবাডাও (অপরাজিত ৫)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফলতম বোলার চেজ ৩ উইকেট নিলেন ১২ রানে। ১৯ রান খরচ করে ২ উইকেট আন্দ্রে রাসেলের। ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন আলজারি জোসেফ। ম্যাচের সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে তাবরেজ সামসিকে।