গত দশ বছর ধরে সংসদের অক্ষরেখায় কোনও ভারসাম্য ছিল না। বিজেপির সংখ্যার তাকতের জন্য তা বেশ কাত হয়েছিল শাসক বেঞ্চের দিকে। যার দাপটে কুছ পরোয়া নয় ভাব নিয়েই সংসদ চালিয়েছেন মোদী-শাহ জুটি। এবার তৈরি হয়েছে জোট নির্ভর সরকার। সংসদে শাসক-বিরোধী ভারসাম্য ফিরেছে এক দশক পর। প্রথম দিন থেকে তাই এনডিএ সরকারকে তুমুল চাপে ফেলার ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিল তৃণমূল।
এখানে একটা বিষয় প্রাসঙ্গিক। তা হল, সংসদে তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা এখন ৪২। একটা সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাংলায় ৪২-এ ৪২ চাই। অর্থাৎ ৪২টি লোকসভা আসনের ৪২টিতেই জিততে হবে তৃণমূলকে। তা হয়নি ঠিকই। তবে এবার লোকসভায় ২৯টি আসনে জিতেছে জোড়াফুল। আর রাজ্যসভায় তাঁদের ১৩ জন সাংসদ রয়েছেন। দুই কক্ষ মিলিয়ে তাঁদের সাংসদ সংখ্যা এখন ৪২।
সূত্রের দাবি, তৃণমূল প্রথম আঘাত হানতে চলেছে অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার এক্সিট পোলের ফলাফল নিয়ে। এ ব্যাপারে সংসদের দুই কক্ষেই মুলতবি প্রস্তাব আনতে পারে তারা। তাদের বক্তব্য, শেষ দফার ভোটের পর অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া তাদের সমীক্ষা প্রকাশ করে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। বলেছিল, এনডিএ চারশ ছুঁয়ে ফেলতে পারে। কিন্তু ফল হয় উল্টো। কিন্তু সেই সমীক্ষার কারণে শেয়ার বাজারে যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়, তাতে মোটা টাকা লুটে নিয়েছে অনেকেই।
তৃণমূলের নেতারা বলছেন, গত কয়েক বছরে অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার হিসাবনিকেশ বলছে বছরে ইনভেস্টমেন্ট অ্যাক্টিভিটি থেকে তাদের ক্যাশ ফ্লো বা নগদের আমদানি মোটামুটি ভাবে ৩ থেকে ৫ কোটি টাকা। ১ তারিখ ভোট শেষ হওয়ার পর তারা এক্সিট পোলের ফল প্রকাশ করেছে। এখন দেখতে হবে তারা ৩-৪ জুনের মধ্যে শেয়ার বাজারে কোনও ইনসাইডার ট্রেডিং করেছে কিনা।