মন্ত্রী-অফিসারদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে নাকি এতটা রণং দেহি কখনও দেখা যায়নি। কেন ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তার মোদ্দা কারণ হল, শহরের সরকারি জমি, পথ-ঘাট-রাস্তার জবরদখল। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পষ্টাপষ্টিই বলেছেন, এক শ্রেণির নেতা, পুরসভার কিছু কর্মী আর অফিসার টাকা নিয়ে বাইরের লোক বসাচ্ছেন। কিছু আমলাও এর সঙ্গে জড়িত বলে তাঁর অভিযোগ।
সূত্রের মতে, এখানে বাইরের লোক বলতে মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে ভিন রাজ্যের লোক বোঝাতে চেয়েছেন। তাঁর ক্ষোভের এও কারণ যে এতে বাংলার আইডেনটিটি তথা পরিচয় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ রাস্তা ঘাট জবরদখল করে যাঁরা বসে পড়ছেন তাঁরা কেউ বাঙালি নন। বাংলার লোকও নন। বাংলার মুখ ঢেকে যাচ্ছে অবাঙালি জবরদখলকারীদের জন্য। যারা বৈধ ভাবে থাকছে না।
ওই সূত্রের খবর, বৈঠকের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, যে যা পারছে লোক এনে বসিয়ে দিচ্ছে। সুজিত বোস তাদের অন্যতম। এই প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের থেকেও কৈফিয়ত চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারে তাঁরও যে ব্যর্থতা রয়েছে তা খোলাখুলিই বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্নের ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী এদিনের বৈঠকে তীব্র অসন্তোষের সঙ্গে বলেছেন, নতুন করে যাদের বসানো হচ্ছে, তারা সব বাইরের লোক। প্রথমে একটা চাল লাগাচ্ছে। তার পর চারটে হকার বসিয়ে দিচ্ছে। একটা ভেন্ডারের ৬টা দোকান। দখল করে নিচ্ছে বাংলাটাকে। তিনি এও বলেছেন, এতে রাজ্যের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। তাঁর কথায়, রাজ্যের রাজস্ব থেকে পাঁচটা রাজ্যের লোকের খরচ বইতে হচ্ছে। বৈঠকে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দিকে তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তোমরা এর জন্য দায়ী।