চলতি ইউরো কাপের প্রি-কোয়ার্টার পর্বে পৌঁছে গেল স্পেন। বৃহস্পতিবার রাতে ইতালিকে ১-০ গোলে হারাল তারা। একমাত্র গোলটি আত্মঘাতী। তবে এদিন সারা ম্যাচ জুড়েই দাপট দেখাল স্পেন। বল নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে শট, সবেতেই প্রতিপক্ষের থেকে অনেক যোজন এগিয়ে ছিল তারা। রিকার্ডো কালাফিয়োরির আত্মঘাতী গোলই ম্যাচে তফাত গড়ে দেয়। আগের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে তিন গোল দিয়েছিল স্পেন। এ দিন ইতালির গোলের নীচে জিয়ানলুইগি ডোনারুম্মা না থাকলে বড় লজ্জার সামনে পড়তে হত ইতালিকে। স্পেনের তরুণ খেলোয়াড়দের সামনেও ইতালির অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা পর্যুদস্ত হলেন। প্রথমার্ধেই অন্তত তিন গোলে এগিয়ে যেতে পারত স্পেন। সুযোগ নষ্টের কারণে কোনওটিই হয়নি। এদিন ইতালির বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলে দেয় স্পেন। একের পর এক আক্রমণ হতে থাকে ইতালির বক্সে। দ্বিতীয় মিনিটেই গোল বাঁচান জিয়ানলুইগি ডোনারুম্মা। বাঁ দিকে নিকো উইলিয়ামস বল পেয়েছিলেন। বক্সের মাঝে ভাসানো ক্রস পেয়েছিলেন অরক্ষতি থাকা পেদ্রি। তাঁর সোজা হেড কোনও মতে আঙুল ঠেকিয়ে বারের উপর দিয়ে বার করে দেন ডোনারুম্মা। ১০ মিনিটের মাথায় আবার একটি সুযোগ নষ্ট করে স্পেন। এবার আলভারো মোরাতা পাস দিয়েছিলেন উইলিয়ামসকে। এখানেও পুরোপুরি ফাঁকায় থাকা সত্ত্বেও বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি উইলিয়ামস।
স্প্যানিয়ার্ডদের ক্রমাগত চাপের মাঝে রক্ষণাত্মক কৌশলে চলে গিয়েছিল ইতালি। তবু কখনও কখনও তারাও উঠে আসছিল প্রতি আক্রমণে। কিন্তু পরিকল্পনাহীনতার কারণে গোলের মুখ খুলতে পারেনি তারা। ২৪ মিনিটে আবার ডোনারুম্মার সৌজন্যে বেঁচে যায় ইতালি। দূর থেকে শট মেরেছিলেন ফ্যাবিয়ান রুইজ। ডোনারুম্মা তা বাঁচিয়ে দেন। চার মিনিট পরে আবার স্পেনের সুযোগ নষ্ট। এ বার দানি কার্ভাহালের থেকে পাস পেয়ে রদ্রির শট ইটালির ডিফেন্স রুখে দেয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন পেদ্রি। বাঁ দিক থেকে মার্ক কুকুরেয়ার পাস পেয়েছিলেন। চলতি বলে পেদ্রি শট নিলেও তা গোলের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৫৫ মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন। বাঁ দিক থেকে নিচু ক্রস করেছিলেন উইলিয়ামস। ঝাঁপিয়ে সেই বল বার করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ডোনারুম্মা। কিন্তু তাঁর আঙুলে লাগে। পাশেই ছিলেন রিকার্ডো কালাফিয়োরি। কিছু বোঝার আগেই তাঁর বাঁ হাঁটুতে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। ৫৮ মিনিটে মোরাতার শট বাঁচান ডোনারুম্মা। দু’মিনিট পরে লেমিনে ইয়ামালের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৭০ মিনিটে অল্পের জন্য বেঁচে যায় ইতালি। উইলিয়ামসের বাঁ পায়ের বাঁকানো শট বারে লাগে। বাকি সময়ে আর গোল শোধ করতে পারেনি ইতালি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে স্পেন।