‘আগামী পাঁচ বছর যাদব ও মুসলিমদের জন্য কাজ করব না। কারণ ওরা আমাকে ভোট দেয়নি। আমারও ওদের ভালমন্দ দেখার দায় নেই।’– প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে এমনই বলেছেন বিহারের এক সদ্য জয়ী এক সাংসদ। তিনি রাজ্যের উত্তর প্রান্তের লোকসভা কেন্দ্র সীতামারির সাংসদ দেবেশচন্দ্র ঠাকুর। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেডের এই সাংসদের কথা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে বিহারে। কিন্তু প্রৌঢ় সাংসদ তাঁর অবস্থানে অবিচল। ‘নো ভোট-নো ওয়ার্ক।’
সীতামারি একটি মিশ্র এলাকা। সেখানে সব ধর্ম-সম্প্রদায়ের মানুষ কম-বেশি আছেন। প্রাক্তন সাংসদ ঠাকুরের বক্তব্য, ভোটের বুথ ভিত্তিক ফল বিশ্লেষণ করে তিনি বুঝতে পেরেছেন যাদব ও মুসলিমরা তাঁকে সমর্থন করেনি। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, এক মুসলিম ব্যক্তি দিন কয়েক আগে একটি বিষয়ে সাহায্য চাইতে তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি তাঁকে সাফ বলে দিয়েছেন, এসেছেন ভাল কথা। চা-জল খান। কিন্তু আমার কাছ থেকে কোনও সহায়তা আশা করবেন না। কারণ, আপনারা আমাকে ভোট দেননি।
রাজনীতিতে এমন দৃষ্টান্ত অবশ্য নতুন নয়। ২০১৯-এর নির্বাচনী প্রচারে উত্তর প্রদেশের সীতামারীতে বিজেপি নেত্রী মানেকা গান্ধী প্রকাশ্য সভায় মুসলিমদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, আমাকে ভোট না দিলে আমি আপনাদের জন্য কোনও কাজ করব না। মানেকার সেই মন্তব্যের জন্য নির্বাচন কমিশন সতর্ক করেছিল তাঁকে। আবার অনেক এমপি, এমএলএ প্রকাশ্যে কিছু না বললেও যে সব এলাকা থেকে ভোট পাননি সেখানকার উন্নয়ন নিয়ে উদাসীন থাকে। যে কারণে বারে বারেই নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করা হয়েছে, বুথ ভিত্তিক ফল প্রকাশ বন্ধ করে এক সঙ্গে গণনা করতে।