গত বছরের ২ জুন উড়িষ্যার বালেশ্বরে শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এবং একটি মালগাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় ২৯৩ জনের মৃত্যু এবং ১২০০ যাত্রী জখম হন। এর ঠিক এক বছরের মাথায় সোমবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। যা নিয়ে সর্বত্র উদ্বেগ। এরমধ্যেই জানা গেল অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে পদাতিক এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটি কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাচ্ছিল। কাঞ্চনজঙ্ঘায় দুর্ঘটনার খবর আসতেই বিভিন্ন জায়গায় থামিয়ে দেওয়া হয় এই রুটের সমস্ত ট্রেন। যে সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে ঠিক সেই সময় কাছেই ছিল শিয়ালদহ থেকে আলিপুরদুয়ারগামী পদাতিক এক্সপ্রেস। কাঞ্চনজঙ্ঘার খবর পৌঁছতেই থামিয়ে দেওয়া হয় পদাতিক এক্সপ্রেসকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সঠিক সময়ে যদি পদাতিককে থামিয়ে দেওয়া না যেত তাহলে দুর্ঘটনা আরও মারাত্মক আকার নিত। বরাত জোরে প্রাণ বেঁচে গিয়েছে শ’য়ে-শ’য়ে যাত্রীর।
আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল গতকাল কলকাতা থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে আলিপুরদুয়ারে ফিরছিলেন। তিনি জানান, নির্ধারিত সময়ের প্রায় আধঘণ্টা পরে ট্রেনটি এসে ওই এলাকায় পৌঁছয়। ফলে বিপদ এড়িয়েছে। নইলে পদাতিকও ওই সময় রাঙাপানি স্টেশন এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকত। সোস্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আরো বড় ভয়াবহ দুর্ঘটনা হতে পারত! রাঙ্গাপানি দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে নিউ আলিপুরদুয়ারগামী পদাতিক এক্সপ্রেস আটকে গেল। কিছু সময়ের এদিক ওদিক হলেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির বদলে পদাতিক ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এক লাইনে চলে আসত।’ বিধায়কের কথায়, ‘১২ নম্বর কেবিনের সিগন্যাল ম্যান জানিয়েছেন রেড সিগন্যাল দেওয়া সত্ত্বেও মালগাড়ির ড্রাইভার সিগন্যাল উপেক্ষা করে ট্রেন ঢুকিয়ে দেয়। দুর্ঘটনা হয়েছে জানতে পেরেই আমি নেমে পড়ে উদ্ধার কাজে হাত লাগাই।’