সাত দফা ভোট শেষে বাংলায় নজরকাড়া ফলাফলের আশা করেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। ৪২টির মধ্যে ৩০টি আসনে জয়ের স্বপ্ন অবশ্য পূরণ হয়নি। উল্টে গতবারের চেয়ে ৬টি কমে এবারে বাংলা থেকে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ১২। যদিও বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলের নিরিখে একুশের চেয়ে ভাল ফল করেছে গেরুয়া শিবির।
এমন পরিস্থিতিতে ভোটের ফল প্রকাশের পর শনিবার প্রথম বৈঠকে বসেছে রাজ্য বিজেপির কোর কমিটি। সন্ধেই সল্টলেকের বৈঠকে কোর কমিটির ২৪ সদস্য ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন বাংলার দায়িত্বে থাকা চার কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য এবং আশা লাকড়া। বৈঠকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও থাকার কথা।
স্বাভাবিকভাবে, এদিনের বৈঠক নিয়ে দলের একাংশ সংঘাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। কারণ, আলোচনায় অপরিহার্যভাবে উঠে আসবে, কেন লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হল না? বিপর্যয়ের কারণ কী?
ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্য নেতাদের একাংশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরের জেতা আসনের পরিবর্তে দিলীপকে এবারে প্রার্থী করা হয়েছিল বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে প্রায় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ভোটে পরাজিত হন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। এরপর থেকে কখনও ‘কাঠিবাজি’র অভিযোগে কখনও ‘নবীন-প্রবীণ’ দ্বন্দ্বকে সামনে এনেছেন দিলীপ। গত চার বছর ধরে দলের কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে ডাকা হয় না বলেও অভিযোগ করেছেন।