সাধের বাড়িতে ফিরলেন দ্বারিকেশ পট্টনায়েক। তবে কফিনবন্দি হয়ে। শনিবার তাঁর দেহ হাতে পেল পরিবার। তাঁর মৃত্যুর প্রায় তিন দিন পরে।
বুধবার কুয়েতের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় দ্বারিকেশের। বৃহস্পতিবার সকালে সেই মৃত্যুসংবাদ পান তাঁর পরিবার পরিজনেরা। শনিবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে মেদিনীপুরের শরৎপল্লীতে দ্বারিকেশের নতুন বাড়িতে এসে পৌঁছয় তাঁর দেহ। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে মেদিনীপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন মেদিনীপুর থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী প্রার্থী জুন মালিয়া। পরে বিজেপি নেতৃত্বও শ্রদ্ধা জানাতে আসেন দ্বারিকেশের বাড়িতে।
শুক্রবার রাতেই কুয়েত থেকে কেরলের কোচিতে এসে পৌঁছেছিল দ্বারিকেশ-সহ কুয়েতে কর্মরত ৪৫ জন ভারতীয়ের দেহ। পরে সেখান থেকে দ্বারিকেশের দেহ বিমানে রওনা করানো হয় কলকাতার উদ্দেশে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার সময় দমদম বিমানবন্দরে দেহ গ্রহণ করেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। বিমানবন্দরেই দ্বারিকেশের কফিনে শ্রদ্ধার্ঘ জানান তাঁরা। পরে সড়ক পথে মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা করানো হয় কফিনবন্দি দ্বারিকেশের দেহ। জুন দ্বারিকেশের দেহ নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান। ডেকে আনেন তাঁর স্ত্রী এবং কন্যাকে। পরে সেখান থেকে দাঁতনে দ্বারিকেশের জন্মভিটের উদ্দেশে দেহ নিয়ে রওনা হয় দ্বারিকেশের পরিবার। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য হওয়ার কথা।