এ বছর নিট পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৬৭ জন। এর পর থেকে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পাশাপাশি অনেককে গ্রেস মার্কস দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দিহান সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য হবু ডাক্তারদের ভবিষ্যৎ কি তাহলে অন্ধকারে? এবার এই প্রশ্ন তুলে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ব্যাপক চিকিৎসা দুর্নীতিকে তুলোধোনা করেছেন বাংলার চিকিৎসকরা। তাঁদের কথায়, যেখানে ডাক্তার মানেই তিনি ভগবান সেখানে চিকিৎসক হওয়ার যোগ্যতার পরীক্ষায় এত বড় স্ক্যাম! দেশের ইতিহাসের অন্যতম বড় দুর্নীতি নিট-এর ২০২৪-এর ফলাফল নিয়ে সমালোচনায় সরব চিকিৎসক মহল।
বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাবে এক আলোচনাচক্রে চিকিৎসকরা বলেন, যেভাবে নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে অযোগ্যদের পাশ করানো হয়েছে তার থেকে এটা স্পষ্ট, ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় যে হারে দুর্নীতি হয়েছে সেটার কাছে অন্য সব স্ক্যাম চুনোপুঁটি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলছে। উল্লেখ্য, গত দু’বছরের নিট-এ প্রথম স্থানে ছিলেন দুই থেকে তিনজন। কিন্তু সেখানে এবারে একসঙ্গে ৬৭ জন শীর্ষস্থানাধিকারী হওয়ায় সন্দেহ তৈরি হয়। এঁদের মধ্যে ৬ জন আবার একই পরীক্ষাকেন্দ্রের। বিষয়টি কি নেহাতই কাকতালীয়? চিকিৎসক মহলের বক্তব্য, নিট-এ মোট ৭১৮ বা ৭১৯ নম্বর পাওয়া কার্যত অসম্ভব। কারণ, এই পরীক্ষা হয় মোট ৭২০ নম্বরে। সেখানে এক-একটি প্রশ্নের মান থাকে চার। একটি প্রশ্ন ভুল হলে সাধারণভাবেই ওই চার নম্বর কাটা যায়। সেই সঙ্গে আরও এক নম্বর কম পান পরীক্ষার্থীরা। সেক্ষেত্রে কীভাবে ৭১৮ বা ৭১৯ কেউ পেতে পারেন তা কোনও যুক্তিতেই বুঝতে পারা যাচ্ছে না।