৩০-এর টার্গেট নিলেও শেষমেশ ভরাডুবি হয়েছে বঙ্গ বিজেপির। চব্বিশের লোকসভা ভোটে বাংলায় ১২ট আসনেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে গেরুয়াশিবিরকে। আর এবার এই হতশ্রী ফল নিয়ে যুক্তি দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরই দায় চাপিয়েছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ। জগন্নাথ বলেন, “আমরা ভোটের সময়ও বেশ কয়েক জায়গায় দেখেছি, একই ব্যক্তি একাধিকবার ভোট দেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।” সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ কিছু ভিডিও দেখা গিয়েছে। সিআইএসএফের জওয়ান থাকা সত্ত্বেও কী করে এটা হল। তাদের সঙ্গে সেটিং না থাকলে কী করে এসব হল। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে দলীয় সাংসদের এই যুক্তিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ভোটের ডিউটিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও স্বতন্ত্র ভূমিকা থাকে না। এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তালিকায় বাংলা থেকে এবারও জায়গা হয়নি জগন্নাথ সরকারের। তা নিয়ে অভিমানের সুর ফুটে উঠেছে তাঁর গলায়।
উল্লেখ্য, পর পর দুবার রানাঘাট থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পরও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেননি তিনি। অথচ পাশের বনগাঁ থেকে দুবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়েছে শান্তনু ঠাকুরকে। এটা নিয়ে নিজের অভিমান চেপে রাখতে পারেননি জগন্নাথ। “দল যখন সিদ্ধান্ত নেয় তার পিছনে নিশ্চয়ই কোনও ভাবনা আছে। সেটা ভুল কি ঠিক পরবর্তীকালে জানা যাবে”, নিজেকে দলের অনুগত সৈনিক বলার পাশাপাশি জানান তিনি।