বড়সড় বিপাকে পড়লেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। এবার তাঁর বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল বেঙ্গালুরুর আদালত। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পকসো মামলায় ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে বিজেপির সংসদীয় কমিটির সদস্য আপাতত বেঙ্গালুরুতে নেই। তিনি দিল্লীতে আছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, দিল্লী থেকে ফিরে আসার পরে তদন্ত প্রক্রিয়ায় যোগ দেবেন। উল্লেখ্য, আগেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল সিআইডি। তবে সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হননি। কিছুটা সময় চেয়েছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, পকসো আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪এ (যৌন হেনস্থা) ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। যে মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে সেই মামলা রুজু করা হয়, তিনি দাবি করেন যে, গত ফেব্রুয়ারিতে বেঙ্গালুরুর ডলারস কলোনিতে নিজের বাসভবনে তাঁর ১৭ বছরের মেয়ের যৌন হেনস্থা করেন ইয়েদুরাপ্পা। উল্লেখ্য, গত মাসে ফুসফুসের ক্যানসারে প্রয়াত হয়েছেন ৫৪ বছরের সেই মহিলা।
আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডির হাতে মামলার তদন্তভার পাঠানো হয়। সদাশিবনগর থানায় ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই ১৪ মার্চ একটি নির্দেশিকা জারি করে কর্ণাটক পুলিশের ডিজি অলোক মোহন জানান যে ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চালাবে সিআইডি। সেইমতো সিআইডি তদন্ত শুরু করে। তারপর এপ্রিলে অফিসে ডেকে ইয়েদুরাপ্পার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী হিসেবে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (এসপিপি) অশোক এইচ নায়েককেও নিযুক্ত করেছে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার। জামিন-অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বরা জানিয়েছেন যে প্রয়োজনে ইয়েদুরাপ্পাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। “যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করবে ওরা (সিআইডি)। আমি জানি না যে সেটা প্রয়োজনীয় কিনা। সেটা বলবে সিআইডি। যদি ওদের মনে হয়, তাহলে ওরা গ্রেফতার করবে”, জানিয়েছেন তিনি।