দেশের ফুটবলমহলে নেমে এল শোকের ছায়া। প্রয়াত হলেন মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ টিকে চাত্তুনি। তাঁর কোচিংয়েই প্রথম বার জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় সবুজ-মেরুন শিবির। বুধবার সকাল ৭.৪৫ মিনিট নাগাদ তিনি প্রয়াত হন। তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছিল ক্যানসার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তাঁর প্রয়াণে শোকাহত কলকাতা ময়দানও। ১৯৯৭ সালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে সেবারের ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চাত্তুনির সালগাওকর। এরপর অমল দত্তর জায়গাতেই সালগাওকর থেকে চাত্তুনিকে কোচ করে আনা হয়েছিল সবুজ-মেরুন শিবিরে। স্বল্পকালের দায়িত্বে মোহনবাগানকে জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন করেন চাত্তুনি। কেরলের প্রাক্তন এই ফুটবলার এবং কোচের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনিও প্রথম জাতীয় লিগ জয়ী মোহনবাগানের সদস্য ছিলেন।
সত্যজিৎ জানান, “অমলদার (দত্ত) জায়গায় সালগাওকর থেকে এসেছিলেন চাত্তুনি। অমলদা ঠিক যে জায়াগায় মোহনবাগানকে পৌঁছে দিয়েছিলেন, ঠিক সেই জায়গা থেকে চাত্তুনি দলটাকে ধরেন এবং তিনি শেষ করেন দলকে শিখরে তুলে। অমলদার ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে বসে কাজ করা কিন্তু খুবই কঠিন। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মতো দলে কোচিং করাটাও খুবই কঠিন। নতুন এক জায়গা থেকে এসে চাত্তুনি যেভাবে মোহনবাগানকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, তা অবিশ্বাস্য। কলকাতা ওকে আরও কয়েকদিন পেলে এখানকার ফুটবলই সমৃদ্ধ হত। চাত্তুনির চলে যাওয়া বড় ক্ষতি।” উল্লেখ্য, কেরলের ত্রিচুরের মানুষ ছিলেন চাত্তুনি। ভাস্কো, ওরকে মিলস, সেকেন্দ্রাবাদের হয়ে খেলেছেন তিনি। সার্ভিসেস, গোয়া ও মহারাষ্ট্রের হয়ে সন্তোষ ট্রফি খেলেন। কেরল পুলিশ, এফসি কোচি, সালগাওকর, মোহনবাগান, ভিভা কেরলে কোচিং করেন কেরলের এই প্রখ্যাত কোচ। দেশের অন্যতম সেরা ফুটবলার আইএম বিজয়নের প্রথম কোচও তিনি।
সব সময়ে থাকতেন হাসিমুখে। কলকাতায় এলে যেতেন মোহনবাগান ক্লাবে। কেরলে বসেই নিতেন কলকাতার ফুটবলের খোঁজখবর।