আজ, মঙ্গলবার জামাইষষ্ঠীর পরব। জ্যৈষ্ঠ মাসে জামাইদের মঙ্গল কামনায় এই ব্রত পালন করেন শাশুড়িরা। ভরপুর খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন তো থাকেই, তার সঙ্গে বাড়িতে পালিত হয় বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানও। তবে এবার আর জামাই আদর করবেন কী! বাজারে গেলে হাত পুড়িয়ে, পকেট ফাঁকা করে ফিরতে হচ্ছে মধ্যবিত্তকে। অনেকে বলছেন ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব রয়েছে বাজার দরে। অনেকে আবার বলছেন এমনিতেই বাজার চড়া। ইলিশ, গলদা হাজারের উপরে। পাঁঠার মাংস আটশো। অন্যান্য সবজিরও দাম আকাশছোঁয়া। ফলে থলি হাতে বাজারে গিয়ে পকেটে আগুন লাগছে মধ্যবিত্তর।
এদিন, ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়, ট্যাংরা ৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা। বাগদা চিংড়ি ৯০০ টাকা,গলদা ১২০০ টাকা, পমফ্রেট ৯০০ টাকা কেজি। মাংসের দামও সমান গরম। চিকেন ২৭০, পাঁঠার মাংস ৮২০-৮৬০ টাকা, পোল্ট্রির ডিম ৭ টাকা। জামাই আদর করার এমন পর্বে আম, লিচু মাস্ট। কিন্তু লিচু ১৮০ টাকা কেজি, হিমসাগর আম ১৫০ টাকা, ল্যাংড়া ১২০-১৫০ টাকা। আগুন শাক সবজির বাজারেও। বিনস ২০০ টাকা, ক্যাপসিক্যাম ১৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা। চন্দ্রমুখী আলু কেজি ৪০ টাকা, জ্যোতি আলু ৩০ টাকা কেজি।
উল্লেখ্য ল, ১৪ জুন পর্যন্ত নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। তাই এখনও পর্যন্ত কোনও ট্রলার ইলিশের সন্ধানে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিতে পারেনি। সেই কারণে, এ বছর জামাইষষ্ঠীতে পাওয়া যাবে না বাংলার টাটকা ইলিশ। স্টোরেজের ইলিশের ওপরেই নির্ভর করতে হবে আমবাঙালিকে। তবে তার দাম শুনলে মাথায় বাজ পড়ার জোগার। খুচরো বাজারে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ৮০০ টাকা, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ইলিশের দাম ১০০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের দাম ১২০০ টাকা! এবং ৯০০ থেকে ১ কিলো ওজনের ইলিশের দাম ১৫০০ টাকা!