শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা আকছার দাবি করতেন (লোকসভা ভোটের আগে) সংখ্যালঘু মুসলমানদের একাংশও নাকি এখন তাঁদের ভোট দিচ্ছেন। আবার অনেকেই বলতেন, সেই দাবি ফাঁপা। তবে তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া যায়, শুভেন্দুদের দাবি কিছুটা হলেও সত্য, তাহলে এর পর বাংলায় সংখ্যালঘুদের কাছে শুভেন্দু-সুকান্তদের কোনও মুখ থাকল কি?
রবিবাসরীয় সন্ধেয় রাষ্ট্রপতি ভবনের উঠোনে নরেন্দ্র মোদী সহ ৭২ জন শপথ নিলেন। সেই ৭২ জনের মধ্যে একটি মুসলিম মুখও দেখা গেল না। এমনকি শরিক দল তেলগু দেশম বা সংযুক্ত জনতা দলও কোনও মুসলিম মুখকে মন্ত্রী করল না। পর্যবেক্ষকদের একটা বড় অংশের মতে, এও এক বিষ্ময় বইকি। উপর্যুপরি সরকারে ধারাবাহিক ভাবে দেশের সংখ্যালঘুদের কোনও প্রতিনিধিই নেই। কেউ বা আবার বলছেন, নো ভোট তাই নো পোস্ট। অর্থাৎ সংখ্যালঘুরা বিজেপিকে বা তাদের শরিকদের ভোট দেয়নি। তাই তাদের জন্য পদও নেই।
সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার যে উৎসাহ দেখা যায় না তা নতুন নয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকেই সেই প্রবণতা তৈরি হয়েছে। গোধরা কাণ্ডের পর তা আরও তীব্র হয়েছে। অটল বিহারী বাজপেয়ীও সেই সার সত্য বুঝতেন। তিনিও মানতেন, মুসলিমদের আস্থা অর্জন করা বিজেপির জন্য কঠিন। তবু বাজপেয়ী জমানায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু মুখ ছিল। মোখতার আব্বাস নকভিকে ৯৮ সালে মন্ত্রী করেছিলেন বাজপেয়ী। তিনি প্রথমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রতি মন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।