নির্বাচনে ভরাডুবি হতেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে ফের মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে আভ্যন্তরীণ কোন্দল। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের হারের পর থেকেই অস্বস্তিতে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। দলের বিরুদ্ধেই তোপ দাগছেন পরাজিত পদ্ম-প্রার্থী অমৃতা রায়। এই আবহে শনিবার দুপুরে নদিয়া জেলা উত্তর সাংগঠনিক কার্যালয়ে তালা দিয়ে বিক্ষোভে শামিল বিজেপি কর্মীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, অমৃতা রায়ের হারের পিছনে জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস ও সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর হাত রয়েছে। বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের আরও অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করে রানিমাকে হারানো হয়েছে। দুজনকে তাঁদের পদ থেকে না সরালে এই বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় অভিযোগ তোলেন, তাঁর হারের পিছনে হাত রয়েছে দলের একাংশের।
পাশাপাশি, নির্বাচনের জন্য পাঠানো দলের টাকাতেও দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি অমৃতার। তাঁর আরও উপলব্ধি, অন্যের কথা শোনা ঠিক হয়নি। সেই মন্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার জেলা বিজেপির সদর দফতরে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখায় কর্মীদের একাংশ। বিক্ষুব্ধ নেতা মিলন বিশ্বাস বলেন, “আমাদের জেলা সভাপতি ও সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করে রানিমাকে হারিয়েছেন। বসে যাওয়া কর্মীদের সঙ্গে ভোটের আগে কোনও আলোচনা করা হয়নি। এমনকী আমাদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। যার ফলেই রানিমার হার। আমরা এই জেলা সভাপতি ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অপসারণ চাই।” অপসারণ বা তাঁরা যদি পদত্যাগ না করেন, তাহলে এই বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাহলে কি জেলা বিজেপির নেতারা চাননি রানিমা জিতুন? উঠছে প্রশ্ন। “ওরা যেমন বলেছে, তেমনই করেছি। সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রচার করেছি। যেখানে বলেছে, সেখানে গিয়েছি। এই পরাজয় মানতে পারছি না। আগামীতে রাজনীতি যদি করি, নিজের বুদ্ধিতেই চলব। অন্যের কথায় নয়”, সাফ জানিয়েছেন অমৃতা রায়।