বৃহস্পতিবার প্রবল চাঞ্চল্যের সাক্ষী থেকেছে চণ্ডীগড় বিমানবন্দর। বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউতকে সপাটে থাপ্পড় কষিয়েছেন সিআইএসএফের এক মহিলা জওয়ান। ২০২১-এ দিল্লীর রাজপথে পাঞ্জাবের কৃষক আন্দোলনের বিরোধিতা করে একের পর এক আক্রমণাত্মক টুইট করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। এমনকী আন্দোলনরত কৃষকদের ‘খলিস্তানি’, ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলেও তোপ দেগেছিলেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে বেজায় ক্ষুব্ধ ছিলেন শিখ সম্প্রদায়ের একাংশ। ফলত, চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে তারই মাশুল গুণতে হল কঙ্গনাকে। জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরে সিকিউরিটি চেক-ইন করার পর কঙ্গনা যখন বোর্ডিংয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাঁকে চড় মারা হয়। কঙ্গনাকে থাপ্পড় মারা ওই মহিলা জওয়ান পাঞ্জাবের কাপুরথালার বাসিন্দা। তাঁর নাম কুলবিন্দর কৌর। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “কঙ্গনা বলেছিলেন ১০০ টাকার জন্য কৃষকরা ওখানে বসে আছে। উনি কি গিয়ে বসেছিলেন সেখানে? কঙ্গনা যখন এহেন কটুক্তি করছিলেন কৃষক আন্দোলন নিয়ে, তখন আমার মা শামিল ছিলেন ওই প্রতিবাদে।” সাহসী কুলবিন্দরকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটারগরিকরা। এবার সেই সুরে সুর মিলিয়ে কঙ্গনা, নরেন্দ্র মোদী থেকে আদানি, সকলকেই হাস্যরসাত্মক ভঙ্গিতে বিঁধলেন টলিউড অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক দিন ধরেই টলিউড অভিনেতার সোশাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক পোস্টের ভিড় দেখা গিয়েছে। কখনও অযোধ্যায় বিজেপির হার নিয়ে বিদ্রূপ করছেন, তো কখনও বা আবার মোদীর ‘সিনেমা না হলে গান্ধীকে কেউ চিনতেন না’, মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করছেন। এবার তিনি মোদী-আদানি থেকে মাণ্ডির নবনির্বাচিত তারকা সাংসদকে একযোগে খোঁচা দিলেন। এদিন ঋত্বিক তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “ইর্ন্টানকে ঠাটিয়ে একটা চড় মেরে এয়ারপোর্টে পাদানিতে বসে চার তারিখের আগেই শেয়ারের দালালি ভাগাভাগি করলো টেস্টটিউব নরেন। একি নাদানি?” বোঝাই যাচ্ছে, অভিনেতা এখানে ‘ইর্ন্টান’ বলতে সদ্য রাজনৈতিক ইনিংস শুরু করা কঙ্গনা রানাউতকে বিঁধেছেন। শেয়ারের দালালি এবং বিমানবন্দরের প্রসঙ্গ টেনে গৌতম আদানিকে কটাক্ষ করেছেন এবং ‘টেস্টটিউব নরেন’ বলতে যে ঋত্বিক মোদীকেই কটাক্ষ করেছেন, তা বলাই বাহুল্য। আসলে দিন কয়েক আগেই নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, “আমার জন্ম বায়োলজিক্যাল নয়।” তাঁর এহেন মন্তব্যে দেশজুড়ে হাসির রোল উঠেছিল। সেই বিষয়টি তুলে প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিতে ভোলেননি টলিউড অভিনেতা।