অনন্য নজির গড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা দেশের মধ্যে রেকর্ড ব্যবধানে জিতলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ইতিমধ্যে তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১০ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৭। ব্যবধান প্রায় ৭ লক্ষের বেশি। উল্লেখ্য, এবছর ভোটের বাংলায় রাজ্য চষে ফেলেছেন অভিষেক। দলের গুরু দায়িত্ব সামলেছেন নিজেই। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত সেরেছেন প্রচার। ডায়মন্ড হারবারের কারও পরিবারের কেউ অসুস্থ হোক কিংবা আর্থিক সমস্যা, পরিবারের কেউ নিখোঁজ হয়ে যান কিংবা অন্য যে কোনও সমস্যা, সবক্ষেত্রেই এক ডাকে হাজির হয়ে যেতেন অভিষেকের সৈনিকরা। গত ১০ বছরে অভিষেক একাধিকবার সংসদীয় বিতর্কে অংশ নিয়ে ঝড় তুলেছেন। ২০১৪ সালে অভিষেক যখন প্রথমবার প্রার্থী হন, তখন প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন সিপিএমপ্রার্থী ডাঃ আবুল হাসনাত। তিনি ৩৪.৬৬ শতাংশ ভোট পান। গত ২০১৯-এ ফুয়াদ হালিম কাস্তে-হাতুড়ির প্রতীক নিয়ে মাত্র ৬.৬৭ শতাংশ ভোট পান। গেরুয়াপ্রার্থী ৩৩.৩৯ শতাংশ ভোট পান।
পাশাপাশি, সেসময় ফলতার বিধান পাড়ুইয়ের মতো ডায়মন্ড হারবারের বহু দাপুটে সিপিএম নেতাও বিজেপিতে যোগ দেন। তাৎপর্যপূর্ণ হল, ২০১৪ সালে প্রদত্ত ভোটের ৪০.৩১ শতাংশ পাওয়া অভিষেক মানুষের পাশে থাকার ফসল হিসাবে ২০১৯ সালে নিজের সমর্থন বাড়িয়ে ৫৬.১৫ শতাংশে নিয়ে যান। এবার তরুণ মুখ প্রতীক উর রহমানকে প্রার্থী করে রামে যাওয়া ভোট বামে ফিরিয়ে আনার মরিয়া চেষ্টা করেছিল আলিমুদ্দিন। বিজেপিও তাদের পোড়খাওয়া কর্মী অভিজিৎ দাসকে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু তাতেও বিশেষ কোনও লাভ হল না। রেকর্ড ব্যবধানে নিজের জয় নিশ্চিত করলেন অভিষেকই।