প্রায় তেইশ বছর আগে প্রশাসক পদে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। বয়স তখন ৫১। ২০০১ সালের ২১ অক্টোবর গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন। তার পর থেকে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার কোনও তরঙ্গই স্পর্শ করতে পারেনি তাঁকে। বরং নির্বাচনী ফলাফলে বারবার প্রমাণ করে দিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ঝড় তোলার জাদু জানেন তিনি। ২৮২ থেকে লম্বা পা ফেলে তিনি পৌঁছে যেতে পারে ৩০৩-এ।
টানা ৪৪ দিন ধরে ভোট পর্বের পর আজ ৪ জুন, মঙ্গলবার সেই অমোঘ মুহূর্ত উপনীত। ভোট গণনার দিন আজ। বৈদ্যুতিন ভোট যন্ত্রের বুকে বোতাম টিপে যে জনাদেশ গুঁজে দিয়েছে কোটি কোটি মানুষ, সকাল ৮টা থেকে তার গণনা শুরু হয়ে যাবে। বেলা ১২টার মধ্যেই অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে যে ট্রেন্ড কোন দিকে। নরেন্দ্র মোদীর প্রত্যাবর্তন হবে, নাকি এবার পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়েছে দেশ।
দেশের ভোট। তবে এই ভোটের প্রভাব এড়াতে পারবে না রাজ্যও। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, এই ভোটে ভাগ্য লেখা হবে বাংলারও। সন্দেহ নেই নরেন্দ্র মোদীর প্রত্যাবর্তন হলে এবং বাংলায় বিজেপির আসন সংখ্যা আগের তুলনায় বাড়লে তার সমূহ প্রভাব পড়তে পারে রাজ্য রাজনীতিতে। উল্টো ফল অবশ্যই স্বস্তি দিতে পারে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে।
শুধু তা নয়, সর্বভারতীয় স্তরে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সমীকরণ, কংগ্রেস, সপা, শরদ পাওয়ারের এনসিপি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতার মতো দল এখন খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে। এই ভোটের ফলাফল তাঁদের ভবিষ্যতের জন্যও একটা বড় মাইলফলক হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।