শেষ লোকসভা নির্বাচন। শনিবার সম্পন্ন হয়েছে সপ্তম তথা অন্তিম পর্বের ভোটগ্রহণ। ভোটের আবহে ফের অশান্ত হয়েছে সন্দেশখালি। ভোটের দিন অশান্তির ঘটনায় সন্দেশখালিতে আরও সাত জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবারই ধৃতদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হচ্ছে। পুলিশের একটি সূত্রে খবর, ধৃতদের সবাই বিজেপি কর্মী কিংবা সমর্থক। নির্বাচনের শেষ দফায় বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালি গত গত জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনায় উঠে এসেছে বারবার। ভোটকে কেন্দ্র করে গত শনিবার সেখানে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। এমনকী, সন্দেশখালি যে লোকসভার অন্তর্গত, সেই বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী প্রশাসনের একাংশকে নিশানা করেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, উত্তেজনা তৈরির অভিযোগে তখনই বিজেপির পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ভোটের ফলপ্রকাশের আগের দিন আরও সাত জনের গ্রেফতারির খবর পাওয়া গেল।
প্রসঙ্গত, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে ভোটের দিন বিকেলে বেড়মজুরের ভোলাপাড়ায় সন্দেশখালি থানার এসআই সাগির গাজিকে আক্রমণের ঘটনায় বেড়মজুর থেকে সাত জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। ধৃতদের নাম দীনেশ বারিক, পরিতোষ সর্দার, চিরঞ্জিৎ সর্দার, কৃষ্ণ সর্দার, দিলীপ সর্দার, মিহির হালদার এবং সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৮৬, ১৮৯, ৩৫৩, ৩৩৩, ৩০৭, ৩৭৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি জামিন অযোগ্য ধারা। ভোটের দিন বেড়মজুরের ভোলাপাড়ায় একটি বুথের এক দিকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা জমায়েত করেন বলে অভিযোগ ওঠে। বুথের অন্য প্রান্তে ছিলেন বিজেপি এবং আইএসএফের কর্মী এবং সমর্থকেরা। সেই সময় সন্দেশখালি থানার এসআই-র নেতৃত্বে পুলিশ লাঠি হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নামে। অভিযোগ, সেই সময় বিজেপি এবং আইএসএফের কর্মী এবং সমর্থকেরা পুলিশের উপর হামলা চালান। তাতে আহত হন এসআই। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে শনিবার রাতেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অন্য দিকে, সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রবিবার থেকে ভোটের ফলপ্রকাশের দিন, মঙ্গলবার পর্যন্ত অধিকাংশ স্থানে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।