আরও একবার বিতর্কের কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী। এবার সীমান্তের জমিতে যেতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় কৃষকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে। যার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন কৃষকরা। সোমবার সকাল থেকে ঘন্টা দুয়েক ওই অবরোধ চলে মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া ও রানিনগর থানার সীমান্তবর্তী ধনিরামপুর বাজারে জলঙ্গি শেখপাড়া পিডব্লুডি-এর রাস্তায়। খবর পেয়ে বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সাগরপাড়ার ওসি অরিজিৎ ঘোষ ও রানিনগরের পুলিশ। অবশেষে কৃষকদের দাবি নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা। ঘটনার সূত্রপাত রানিনগরের বামনাবাদ সীমান্তে ১৪৬ ব্যাটেলিয়ন বিএসএফের এন্ট্রি পয়েন্টে। কৃষকদের অভিযোগ, অন্যান্যদিনের মতো আজকেও সকাল সাড়ে পাঁচটার সময় বিএসএফের এন্ট্রি পয়েন্টে লাইন দেন তাঁরা। সাধারণত সকাল ছটা-সাড়ে ছটা নাগাদ এন্ট্রি করে কৃষকদের সীমান্তের জমিতে যেতে অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু এদিন সকাল সাতটা কুড়ি বেজে গেলেও এন্ট্রি শুরু করেনি বিএসএফ।
এপ্রসঙ্গে কৃষকরা জানান, “এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতেই বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার চাষিদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে। তাতে অন্তত ১০ জন চাষি জখম হয়েছেন। তাই নয় বিএসএফ শূন্যে গুলিও ছুড়েছে।” ওই ঘটনার প্রতিবাদে ধনিরামপুর বাজারে পথ অবরোধ করেন তাঁরা। রাস্তার উপরে সাইকেল রেখে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের ছড়িয়েছে ধনিরামপুর বাজারে। জলঙ্গি শেখপাড়া সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। নাকাল হতে হয় যাত্রীবাহী বাস, ছোট-ছোট গাড়ি যাত্রী-সহ পথচারীদের। কৃষকরা জানান, “আমরা মাঠে খেটে ফসল ফলিয়ে সীমান্তের জমি দখলে রাখার চেষ্টায় আছি। অথচ তার থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার ভারতীয় সীমানার ভিতরে আমাদের আটকে দিয়ে চাষের অসুবিধা সৃষ্টি করছে বিএসএফ। তাই নয় এতটা ভিতরে থাকায় বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা অবাধে ভারতীয় সীমানায় ঢুকে জমির ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে। গবাদি পশু দিয়ে ফসল খাইয়ে দিচ্ছে। সে বেলায় বিএসএফ কোনও পদক্ষেপ নেয় না।” তাঁদের দাবি, দিনের বেলায় বিএসএফ জওয়ানদের নোম্যানস ল্যান্ডে ডিউটি করতে হবে। অবশ্য ওই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয় বিএসএফ। মুখে কুলুপ এঁটেছে তারা।