সপ্তম বা শেষ দফার ভোটপর্ব শুরু। শনিবার বাংলার ৯টি আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শেষ দফায় রাজ্যের ৯টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য শুধু বুথের পাহারায় থাকছে ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। মোট বাহিনীর সংখ্যা ১০২০ কোম্পানি। অর্থাৎ নজিরবিহীন নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শুরু হয়েছে শেষ দফার ভোট।
শনিবার বাংলার উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, দমদম, বারাসত, বসিরহাট, যাদবপুর, ডায়মন্ড হায়বার, মথুরাপুর ও জয়নগরে আসনে ভোট হচ্ছে। এই ৯টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনে বিশেষ নজর রেখেছে নির্বাচন কমিশন। সেগুলি হল, কলকাতা, বসিরহাট ও ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র। বাড়তি নজর রয়েছে ভাঙড়েও। সেখানের জন্য আলাদা করে মোতায়েন করা হয়েছে ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
জয়নগরের মেরিগঞ্জে জলে ইভিএম ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। এ প্রসঙ্গে কুলতলির বিধায়ক গণেশ মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে হচ্ছে। বিজেপির দুষ্কৃতীরা জোর করে ইভিএম ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে জলে ফেলে দেয়।’’ যদিও বিজেপি প্রার্থী অশোক কান্ডারির দাবি, ‘‘৪০ এবং ৪১ নম্বর বুথে এজেন্ট বসতে দেয়নি শাসকদল তৃণমূল। গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে যান। মহিলারা একজোট হয়ে ইভিএম জলে ফেলে দেন।’’
বারুইপুর পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রভবনে ১৩২ নম্বর বুথে ইভিএম মেশিন খারাপ থাকায় সকাল থেকেই ভোট দিতে পারেননি ভোটারেরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর মেশিন ঠিক হয়। তার পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট দিয়ে বেরোনোর পর মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখে ‘চোর চোর’ স্লোগান। অভিযোগ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের বেলগাছিয়ার দত্তবাগান ২২ নম্বর এলাকার ঘটনা।