১৬ মার্চ অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। আর তারপর থেকে গত ছিয়াত্তর দিনে ২০৬টি জনসভা করেছেন তিনি। ৮০টি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। অবশেষে গতকাল পঞ্জাবের হোসিয়ারপুরে প্রচারকাজে ইতি টেনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রাথমিক ভাবে, তাঁর সরকারের গত পাঁচ বছরের কাজের খতিয়ান দিয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন মোদী। কিন্তু নির্বাচনের দু’টি পর্বে ভোটদানের হার গত বারের তুলনায় কমে যাওয়ায় বক্তব্যের অভিমুখ বদলে চূড়ান্ত মেরুকরণের রাস্তায় হাঁটেন তিনি।
প্রত্যেক দিন গড়ে তিনটি সভায় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, কংগ্রেস তথা ‘ইন্ডিয়া’ জোট তফসিলি জাতি, জনজাতি, দলিত, ওবিসি-র সংরক্ষণ কেটে মুসলমান তথা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ককে দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এমনকী ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ ক্ষমতায় এলে মেয়েদের মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেওয়ার কথাও বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।
কিন্তু প্রচারের শেষ পর্বে রূপান্তর দেখা গিয়েছে তাঁর। কিছু সাক্ষাৎকারে নিজেকে ‘পরমাত্মার সন্তান’ আখ্যা দিয়ে মোদী বলেছেন, ২০৪৭ সালেও তিনি দেশের কাজে নিয়োজিত থাকবেন! এমনকী মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণে আজ, শেষ পর্বের ভোটের দিন ধ্যানে বসে পড়েছেন তিনি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব বিরোধীরা।