দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বরাবরই বাংলার ভোট নিয়ে মাতামাতি বেশি হয়। জনগণের অংশগ্রহণও বেশি। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। ভোটের হারে যেমন দেশের অন্য সব রাজ্যকে পিছনে ফেলেছে বাংলা, তেমনি প্রচারের ক্ষেত্রেও এ রাজ্যই দেশের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে।
বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটায় অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শেষ হয়েছে। শেষ দফার প্রচার শেষের পরে কমিশন জানাচ্ছে, লোকসভা ভোটের প্রচারপর্বে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট সংক্রান্ত কর্মসূচি হয়েছে বাংলাতেই। এ রাজ্যে সভা-সমিতি-মিছিল-রোড শো মিলিয়ে প্রায় ৯৫ হাজার রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়েছে। কমিশন সূত্রের খবর,বাংলায় কর্মসূচি করতে চেয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের তরফে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ২৭৬ আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ৯৫ হাজার আবেদনের অনুমতি দেওয়া হয়।
এ তো গেল সরকারি হিসাবে। ১৬ মার্চ ভোট ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী আচরণ বিধি কার্যকর হয়েছে। কমিশন যে হিসাবে দিয়েছে সেটা ১৬ মার্চের পর থেকে। তার আগে থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছিল ভোটপ্রচার। এমনকী খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ভোট ঘোষণার আগে রাজ্যে এসে প্রচার করেছেন। সব মিলিয়ে বাংলায় ভোটপ্রচার সংক্রান্ত কর্মসূচি লক্ষাধিক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দেশের আর কোনও রাজ্যে এই ব্যাপক রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়নি। উত্তরপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যেও নয়।
রাজ্যে ভোটপ্রচারে কোনও দলই পিছিয়ে ছিল না। বিজেপির তরফে যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রচারে এসেছেন, তেমনি এসেছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। এসেছেন যোগী আদিত্যনাথ, হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো ভিনরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। এর বাইরে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা চুটিয়ে প্রচার করেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মমতার প্রচার সভা ও রোড-শোয়ের মিলিত সংখ্যা ১০৭ আর অভিষেকের ৭২। এর বাইরে তৃণমূলের তারকা প্রচারকরা প্রচার করেছেন।