শেষ দফার নির্বাচনের আগেই ফের বিপাকে বিজেপি। প্রসঙ্গত, ভোটপর্বের মধ্যেই কর্ণাটকের রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল পদ্ম জোটের সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগ। একটি ভিডিও ঘিরে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে। সেই মামলায় আদালত, আগামী ৬ই জুন পর্যন্ত রেভান্নার পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। কর্ণাটকে সাসপেন্ড হওয়া জেডিএস নেতা তথা হাসানের বিজেপি-জেডিএসের জোটের প্রার্থী রেভান্নার বিরুদ্ধে তিন মহিলাকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ ছিল। জেডিএস থেকে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ রেভান্নাকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর অভিযোগ ঘিরে কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটকে প্রশাসন নড়েচড়ে বসতেই জানা যায় দেশ ছেড়েছেন রেভান্না। রেভান্না দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর আইনি চিঠি তদন্তকারীদের পাঠালেও. পরে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরে পা রাখেন। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে পা রাখার পরই গ্রেফতার করা হয় রেভান্নাকে।
উল্লেখ্য, রেভান্নার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থাকাণ্ডে অভিযোগ উঠলেও তিনি চলে যান জার্মানিতে। মিউনিখ থেকে রেভান্না দেশে ফিরতেই তিনি গ্রেফতার হন। এরপরই তাঁকে সিআইডি অফিসে তাঁকে জেরার জন্য নেওয়া হয়। এদিকে, অভিযোগ ওঠার পর থেকেই কর্ণাটক পুলিশ স্পেশ্যাস ইনভেস্টিগেশন সেল তৈরি করে। এর আগে, ভোটের মাঝে হাসানের বিদায়ী সাংসদ জেডিএস থেকে (বর্তমানে) সাসপেন্ড হওয়া নেতা রেভান্নার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। এরপর প্রথম দফার ভোট ২৬ এপ্রিলের গভীর রাতে রেভান্না দেশ ছাড়েন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই চাঞ্চল্য ছড়ায় কন্নড় রাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে। এরপর তিনি দেশে ফিরতেই আদালতে তাঁকে তোলা হলে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজত দেয় কোর্ট। ফলে ৪ঠা জুন ভোটের ফলাফলের দিনও রেভান্নাকে থাকতে হবে জেলে।