২২ বছর আগে নিজের ম্যানেজারকে খুনের মামলায় তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই আদালত। সেই মামলাতেই এবার হাইকোর্টের নির্দেশে রেহাই পেলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু ডেরা সচ্চা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম রহিম। মঙ্গলবার রাম রহিম-সহ মোট ৫ জনকে এই মামলায় বেকসুর খালাস করেছে আদালত। এঁদের মধ্যে এক জনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে।
২০০২ সালে ডেরার মধ্যে গুলি করে খুন করা হয়েছিল ডেরা সচ্চা সৌদার ম্যানেজার রণজিৎ সিংকে। সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নামে পুলিশ। তবে পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্ট রণজিতের পুত্র ২০০৩ সালে এই মামলায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্ত হন। সিবিআই তদন্তে জানা যায়, সিরসায় ডেরা সাচার আশ্রমে রাম রহিম যে মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাচ্ছেন বলে যে চিঠি ফাঁস হয় তার নেপথ্যে রঞ্জিতেরই হাত ছিল। দীর্ঘ বছর মামলা চলার পর ২০২১ সালে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাম রহিম-সহ ৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি রাম রহিমকে ৩১ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়।
সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের দ্বারস্ত হন রাম রহিম। এই মামলাতেই মঙ্গলবার তাঁকে রেহাই দিল আদালত। তবে খুনের মামলা থেকে রেহাই পেলেও রাম রহিমের জেল মুক্তির কোনও সম্ভাবনা এখনই নেই। নিজের দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের মামলায় ২০ বছরের জেল হয়েছে তাঁর। এর পাশাপাশি আরও দু’টি খুনের মামলায় নাম জড়িয়েছে রাম রহিমের। যার অন্যতম সাংবাদিক রাম চন্দ্র ছত্রপতি খুন। রাম রহিম নিজের ডেরায় মহিলাদের ধর্ষণ করে বলে একটি চিঠি তিনি নিজের সংবাদপত্রে প্রকাশ করার পরই ২০০২ সালে বাড়ির বাইরে তাঁকে খুন করে আততায়ীরা। এর পরই খুন হতে হয় তাঁকে। এই হত্যাকাণ্ডেও রাম রহিম যুক্ত বলে অভিযোগ ওঠে।