রবিবার রাতেই বাংলা ও বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় ল্যান্ডফল করে রেমাল। এরপর বাংলাদেশের মংলা বন্দরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের এলাকা থেকে স্থলভূমিতে প্রায় ১২০ কিমি বেগে আছড়ে পড়ে ঝড়টি। তখন সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১৩৫ কিমি। প্রায় রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ গোটা ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শেষ হয়। আর তারপর রাজ্যের উপকূল এবং সংলগ্ন এলাকার ওপর দীর্ঘ সময় ধরে তাণ্ডব চালায় রেমাল। যার দাপটে শহর কলকাতার অনেকাংশ বিপর্যস্ত। রাস্তাঘাটে গাছ উপড়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত কোথাও কোথাও। মেট্রো স্টেশনে জল জমে মেট্রো চলাচলও আংশিক বন্ধ। এই অবস্থায় রেমাল পরবর্তী রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির রিপোর্ট চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মুখ্যসচিবের কাছ থেকে তিনি ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন। জেলাশাসকদের মাধ্যমে রিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
প্রাথমিকভাবে নবান্নে আসা রিপোর্ট অনুযায়ী, ১২০০ বিদ্যুতের খুঁটি নষ্ট হয়েছে, যার মধ্যে সুন্দরবনেই তিনশোর বেশি। এছাড়া ৩০০র বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। জেলাশাসকদের কাছ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি ব্লকের আলাদা করে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সমস্ত তথ্য পেলে এর পর বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এমনই জানিয়েছেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। এদিকে, শহরের রাস্তায় ভেঙে পড়া সমস্ত গাছ পরিষ্কার করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে কলকাতা পুরসভাকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, দুর্যোগের জেরে নিজের নির্বাচনী কর্মসূচিও সামান্য বদল করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, কলকাতা উত্তরের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য সন্ধে ৬টায় বেলেঘাটা গান্ধীভবন থেকে মানিকতলা পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন তৃণমূল নেত্রী। তার আগে বিকেল ৫টায় বড়বাজারে জনসভা করবেন। নিজেই ফেসবুক পোস্টে তা জানিয়েছেন তিনি।