চলছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে ছয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। বাকি রয়েছে আর এক দফা। এবারের ভোটে দমদম কেন্দ্র থেকে ফের তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সৌগত রায়। নতুন নজিরের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি। দমদম লোকসভা এখনও পর্যন্ত টানা চারবার কেউ সাংসদ হতে পারেননি। কাজেই এবার সৌগত জয়ী হলে নতুন রেকর্ড গড়বেন তিনি। অতীতের পাতা ঘাঁটলে জানা যায়, জরুরি অবস্থার পর ১৯৭৭-এর লোকসভায় দেশজুড়ে কংগ্রেসের বিপর্যয়ের আবহে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র হেঁটেছিল স্রোতের বিপরীতে। অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সময় থেকেই দাপুটে শ্রমিক নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন মহম্মদ ইসমাইল। ১৯৬৭ থেকে ব্যারাকপুরের সাংসদ ছিলেন সিপিএমের এই শ্রমিক নেতা। ১৯৭৭-এ দেশজুড়ে যখন কংগ্রেস হারছে সেখানে ব্যারাকপুরে তরুণ এক নেতার কাছে মহম্মদ ইসমাইল অপ্রত্যাশিত ভাবে হারেন। রেকর্ড ৬৫ শতাংশ ভোট পান ওই তরুণ।
উল্লেখ্য, সে দিনের তরুণ সৌগত এখন আশির দোরগোড়ায়। দমদম লোকসভা কেন্দ্রে জোড়াফুলের প্রতীকে চতুর্থবার লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন তিনি। সোমেন মিত্রের প্রয়াণের পর কলেজ স্কোয়ার সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সভাপতির দায়িত্বও নিয়েছেন সৌগত। যদিও সেই মোরারজি দেশাইয়ের জমানা থেকে এখন নরেন্দ্র মোদীর জমানা অবধি অনেক জল বয়ে গিয়েছে। মধ্যবর্তী সময়ে কখনও আলিপুর, কখনও বনগাঁ, কখনও অধুনালুপ্ত ঢাকুরিয়া বিধানসভা থেকে বিধায়ক হয়েছেন সুবক্তা এই নেতা। তিধি আশুতোষ কলেজের পদার্থবিদ্যার প্রাক্তন অধ্যাপকও। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ছাত্র রাজনীতি করছেন, সেই সময় প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৌগত। আর এবার প্রার্থী হয়েই জোরকদমে প্রচারে নেমেছেন সৌগত। জনসংযোগে বিন্দুমাত্র ত্রুটি রাখতে নারাজ তিনি।