রবিবার চিপকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হেলায় হারিয়ে তৃতীয় বারের জন্য আইপিএল খেতাব জিতেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ফাইনালেও দুরন্ত ছন্দে দেখা গেল মিচেল স্টার্ককে। ম্যাচের সেরা হলেন তিনি। টুর্নামেন্ট সেরার শিরোপা উঠেছে সুনীল নারাইনের মাথায়। এদিন জয়ের পর উচ্ছ্বাসে মাতল পুরো নাইট-বাহিনী। উদযাপন সাজঘর হয়ে গড়াল হোটেলে। কেক কাটলেন ক্রিকেটাররা। একে অপরকে কেক মাখালেন। চলল শ্যাম্পেনে স্নানও। চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য চেন্নাইয়ের হোটেলে রাখা হয়েছিল একটি বিশাল কেক। ট্রফি নিয়ে হোটেলে ঢোকেন অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। তিনি প্রথমেই কেকের পাশে গিয়ে ট্রফি রেখে দেন। ক্রিকেটারদের গায়ে ‘চ্যাম্পিয়ন’ লেখা জার্সি। চার দিকে ভিড় করে দাঁড়িয়েছিলেন ছবিশিকারীরা। শ্রেয়স, সুনীল নারাইনেরা কেক কাটেন। তার পরে কেক মাখানো শুরু হয়। শ্রেয়স ট্রফি নিয়ে নাচছিলেন। চার দিকে ‘কেকেআর, কেকেআর’ চিৎকার শোনা যাচ্ছিল। তার পরেই দেখা গেল সবাইকে শ্যাম্পেনে স্নান করিয়ে দিচ্ছেন শ্রেয়স। তাতে যোগ দিয়েছিলেন দলের সব ক্রিকেটাররা।
এদিন বেঙ্কটেশ আয়ারের ব্যাটে লেগে বল উইকেটরক্ষকের পিছনে চলে যেতেই উচ্ছ্বাস শুরু হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে। বেঙ্কটেশকে জড়িয়ে ধরেন শ্রেয়স। মাঠে ছুটতে ছুটতে ঢুকে পড়েন রিঙ্কু সিংহ, হর্ষিত রানারা। একে অপরের ঘাড়ে উঠে পড়েন তাঁরা। উচ্ছ্বাসের তোড়ে ভেসে যান সাপোর্ট স্টাফেরাও। মাঠে সপরিবার নেমে পড়েন শাহরুখ খানও। চলতি আইপিএলে প্রতিটি ম্যাচের পরেই মেন্টর গৌতম গম্ভীরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন ক্রিকেটারেরা। দলের সাফল্যে তাঁর কতটা অবদান সেটা জানান তাঁরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেও সেটা দেখা গেল। গম্ভীরকে জড়িয়ে ধরে কোলে তুলে নেন নারাইন। কেকেআরের প্রতিটি ম্যাচের পরে মাঠ প্রদর্শন করেন। এই ম্যাচেও করেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী গৌরী খান, ছেলে আরিয়ান ও আব্রাম, মেয়ে সুহানা। অনন্যা পাণ্ডে, শানায়া কপূর, শাহরুখের ম্যানেজার পুজা দাদলানিও ছিলেন সঙ্গে। মাঠ প্রদর্শন করার আগে কেকেআর ক্রিকেটারদের কাছে যান শাহরুখ। সবার সঙ্গে কথা বলেন। জড়িয়ে ধরেন। গম্ভীরের কপালে চুমু খান শাহরুখ। ক্রিকেটারদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন শাহরুখ। ট্রফি জেতার পরে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে উল্লাস চলে সাজঘরে। রিঙ্কু, বেঙ্কটেশদের দেখা যয় নিজস্বী তুলতে। মাঠকর্মীদেরও চ্যাম্পিয়ন লেখা টি-শার্ট দেন তাঁরা। সাজঘরে ছিলেন শাহরুখ, জুহি চাওলারা। গম্ভীরকেও দেখা যায় সপরিবার ট্রফি হাতে ছবি তুলতে। রাত ২টো নাগাদ সাজঘর থেকে বেরিয়ে বাসে ওঠে দল। একেবারে সামনে ট্রফি রাখা হয়। নাচতে নাচতে হোটেলে ফেরেন ক্রিকেটাররা। আর সেখানেও থামেনি উল্লাস।